কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলির কামার পল্লীতে ব্যস্ততা বেড়েছে। নতুন দা-চাকু তৈরি, পুরাতন দা-বটি-চাকুতে ধার দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কামার পাড়ায় এসে কেউ নতুন করে বানাতে দিয়েছেন। আবার কেউবা পুরনোগুলোই ধার দিয়ে নিচ্ছেন। সোমবার (১৯ জুন) কামার পাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নতুন দা বানাতে আসা মো.ফরিদ হোসেন বলেন, 'গত বছর নতুন দা বানিয়েছি। খুঁজে না পাওয়ায় আবার নতুন দা বানাতে এসেছি। কোরবানি ঈদে দা তো লাগবেই। তবে গত বারের চেয়ে এবার দাম অনেক বেশি। গত বছর ৪০০ টাকা দিয়ে যে দা কিনেছিলাম, এবার ৫০০ টাকার নিচে হচ্ছে না।'
বটি ও চাকু ধার করতে আসা মো. আসলাম হোসেন বলেন, 'সেই গত বছর বটি আর চাকু ধার করেছি। তেমন দরকার না হওয়ায় আর ধার দেয়ার প্রয়োজন পড়েনি। সামনে কোরবনির ঈদ। ধারালো চাকু, বটি না হলে গোস্ত কাটা যায় না। তাই আগেভাগেই ধার করে রাখছি। পরে সিরিয়াল পাওয়া যায় না।'
স্থানীয় কামার রবি দাস ও কৃজ্ঞ কুমার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, 'এখন একটু ব্যস্ততা বেড়েছে। ক’দিন পর কোরবানির ঈদ। তাই যারা কোরবানি দিবেন, তারা আগে থেকেই গোস্ত কাটার জিনিসপত্র ঠিকঠাক করে রাখছেন। কারণ পরে ব্যস্ততা বাড়ে। আমাদের ওপরও চাপ পড়ে।'
তারা আরও বলেন, 'গত বছরের চেয়ে এ বছর লোহাসহ অনান্য সামগ্রীর দাম অনেকটা বেশি। নতুন দা, বটি, চাকু তৈরিতে খরচ বেশি পড়ছে। তাই এবার একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।'
ঢাকা বিজনেস/বি/এন/