১৮ মে ২০২৪, শনিবার



চাঁদপুরের মৎস্য জাদুঘর: রয়েছে ৩০০ প্রজাতির মাছের নমুনা

অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুর || ১২ জুন, ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
চাঁদপুরের মৎস্য জাদুঘর:  রয়েছে ৩০০ প্রজাতির মাছের নমুনা


 ইলিশের বিভিন্ন প্রজাতিসহ বিলুপ্ত প্রায় ৩ শতাধিক মাছের নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে চাঁদপুরের মৎস্য জাদুঘরে। ১৯৮৪ সালে চাঁদপুরের ওয়ারলেস বাজার এলাকার বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ ভবনের একটি কক্ষে এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মৎস্য জাদুঘরটিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দেখতে প্রতিদিনই আসছেন গবেষক, জেলে, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। 

সংশ্লিষ্ট-সূত্রে জানা গেছে, এই জাদুঘরটিতে বিলুপ্ত প্রায় মহাশোল মাছ, বিরল প্রজাতির জইয়া মাছ, রানি, চিতল, গারুয়া, তারা বাইম, মধু পাবদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। 


এদিকে সমুদ্রের হাঙর, ঝিনুক, বামশ মাছ, ইলিশ ও মাছের ডিমও স্থান পেয়েছে। এছাড়া, জলাশয়ে ঘুরে বেড়ানো গুই সাপ, কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রাণীও এখানে রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত চাঁদপুরের রুপালি ইলিশসহ নানা জাতের ইলিশের নমুনাও এই জাদুঘরে রয়েছে। এরমধ্যে চন্দনা ইলিশ, গোর্তা ইলিশ, কেনোলেসা ইলিশের মতো দুর্লভ প্রজাতির ইলিশের নমুনাও ফরমালিন দিয়ে ফ্রিজআপ করে জারে রাখা আছে। যারমধ্যে কোনো কোনো ইলিশের ওজন ৩ কেজিরও বেশি।  

শিক্ষার্থী, জেলে ও দর্শনার্থীরা বলছেন, অনেক দেশি মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেগুলো সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহ আছে বলেই আমরা এখানে পরিদর্শনে এসেছি। একসঙ্গে সাধুপানি ও সামুদ্রিক মাছ দেখতে পাওয়া যায় এই জাদুঘরটিতে। যা দেখে ব্যবহারিক কাজ সম্পন্ন করার জন্যই মূলত এখানে আসা। কারণ এখানে একসঙ্গে বহু মাছের নমুনা দেখতে পাওয়া যায়। যা দেখে দেশীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছ ও প্রাণীর ব্যবহারে আমরা সমৃদ্ধ হচ্ছি।


নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু কাউসার দিদার বলেন, ‘বিলুপ্ত সব  প্রজাতির মাছ ও প্রাণীকে দ্রুত চেনার উপায় হিসেবে জাদুঘরটির প্রত্যেক কাঁচের জারের ওপর তাদের নাম সংবলিত তথ্য দেওয়া রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা মৎস্য প্রজাতি সম্পর্কে সহজেই ধারণা পেয়ে থাকেন। মাছগুলাকে নির্দিষ্ট ফরমালিনের মাত্রায় কাঁচের জারে রাখা হয়। সম্পূর্ণ মাছটি গোলাকার কাঁচের জারের বাইরে থেকেই দেখা যায়।’

এ বিষয়ে নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে যখন মনে হয়, এই মাছের প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কিংবা এটি সংরক্ষণের প্রয়োজন, তখন সাধু পানি ও সামুদ্রিক মাছের নমুনাগুলা এখানে সংরক্ষণ করা হয়। এখানে মাছ ও প্রাণীকে মূলত ফরমালিন ফ্রিজআপ করা হয়। আমাদের তেমন কোনো বরাদ্দ নেই। তবু এই জাদুঘরটিতে মাছ ও প্রাণী সংরক্ষণ করে যাচ্ছি।  যেন দেশে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে এখানে আসা সবাই ভূমিকা রাখতে পারেন।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/




আরো পড়ুন