ইয়েমেনে হুতিদের ১৮ স্থাপনার ওপর নতুন করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই হামলা চালানো হয়। এই দিন যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের লোহিত সাগরের জাহাজে লাগাতার আক্রমণের কয়েক সপ্তাহ পরেযুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন নতুন করে এই হামলা চালায়। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলাগুলো ‘বিশেষভাবে হুতির ভূগর্ভস্থ অস্ত্রের ভান্ডার, ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা, একমুখী হামলার মনুষ্যবিহীন বিমান ব্যবস্থা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার ও একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে যুক্ত ইয়েমেনের আটটি স্থানে ১৮টি হুতি লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে।’
বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, ডেনমার্ক, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্র-সরকারপ্রধানরা স্বাক্ষর করেন। এসব দেশ নতুন রাউন্ডের হামলায় অনির্দিষ্ট ‘সমর্থন’ দিয়েছে। এই অঞ্চলে বিদ্রোহীরা জাহাজে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এই মাসে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ দফা হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনায় যৌথ হামলা চালানো হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে হুতিরা বাণিজ্যিক ও নৌ জাহাজে ৪৫টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য এই হামলা হুমকিস্বরূপ।’
ব্রিটেনের সঙ্গে যৌথ অভিযান ছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আত্মরক্ষার্থে ইয়েমেনে হুথি অবস্থান নিয়েছে। অস্ত্রশস্ত্রের বিরুদ্ধে বারবার একতরফা হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে বিমান ও সমুদ্রবাহিত ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিন হামলার পর একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হুতিদের কাছে পরিষ্কার করে দেব যে তারা যদি তাদের অযাচিত আক্রমণ বন্ধ না করে, যা মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতির ক্ষতি করে, পরিবেশের ক্ষতি করে, ইয়েমেন ও অন্যান্য দেশে মানবিক সহায়তা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে তারা পরিণতি ভোগ করবে।’
হুতিরা বলেছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।