সরকার ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এর ফলে কমে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গত ৫ জুন থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এরআগে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতো। এরপর ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় কেজিতে ৩০ টাকা কমে বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এতে স্বস্থি ফিরে এসেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি আগে দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল প্রতিকেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর পর আজ ( ৯ জুন) প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ’
আরেক পেঁয়াজ ক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিন্মআয়ের মানুষ। পেঁয়াজের বাজার যেভাবে বাড়তে শুরু করেছিল, তাতে আমাদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। সরকার ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ৯০ টাকা দরের পেঁয়াজ এখন ৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারছি। এতে আমাদের মতো মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষদের অনেক সুবিধা হয়েছে।’
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আগে আমরা প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি করেছিলাম। আর আজ বিক্রি করছি ৬০ টাকা কেজি দরে। ৪ দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজি ৩০ টাকা।’
পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘আমরা মোকাম থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা দরে কিনে এনে খুচরা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে ৫ জুন পেঁয়াজ শুরুর প্রথমদিকে গত ৩ দিন আগেও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৪৫ টাকা কেজি দরে। তবে এখন ভারত থেকে বেশি পেঁয়াজ আমদানি শুরুর ফলে প্রতিকেজির দাম ৫ টাকা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি। ’
পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. কামাল হোসেন ও জাকির হোসেন বলেন, ‘আইপি পাওয়ার পর আমরা প্রতিদিনই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। মোকাম থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৩৪ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি করছি। আরও বেশি আমদানি হলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসতে পারে।’
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘গত ১৫ মার্চ থেকে আইপি না থাকায় হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। সরকার গত ৫ জুন আইপি দেওয়ায় ওই দিন বিকেল থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।’
এদিকে হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন ৩ ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন , ৬ জুন ৪২ ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ৮৪০ মেট্রিক টন, ৭ জুন ১৩ ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ২৬০ মেটিক টন ও ৮ জুন ১৪ ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ২৮০ মেটিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আইপি পাওয়ার পর ৪ দিনে মোট ৭৩ ট্রাকে ১ হাজার ৪৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/