২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



টাঙ্গাইলে মাধ্যমিকে ৫৪ ভাগ বই পেলো শিক্ষার্থীরা

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা || ০১ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:৩১ পিএম
টাঙ্গাইলে মাধ্যমিকে ৫৪ ভাগ বই পেলো শিক্ষার্থীরা


উৎসব মুখর পরিবেশে টাঙ্গাইলের স্কুলে স্কুলে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হয়েছে। জেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৪ ভাগ এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ৭০ ভাগ বই শিক্ষার্থীরা পেয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ দুটি এবং তিনটি বিষয়ের বই হাতে পেয়েছে। তবে খুব দ্রুতই বাকি বইগুলো দেওয়া হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। 

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য জেলায় ৫৭ লাখ ২৯ হাজার ৩০৯টি বইয়ের চাহিদা ছিল। এর মধ্যে ৩১ লাখ ৮৭৯টি বই প্রথম দিন দেওয়া হয়েছে। আর ৪৬ ভাগ বই পরবর্তী ধাপে দেওয়া হবে।

 এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলায় মোট ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় ১৯ লাখ ৭ হাজার ১২৮টি বইয়ের চাহিদা ছিল। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৩৩৮টি বই দেওয়া হয়েছে। ৩০ ভাগ বই পরবর্তী ধাপে দেওয়া হবে। 

 রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা সদর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন হায়দার। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রহিম সুজন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ সরোয়ার আলম, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।

এ ছাড়াও, বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানমসহ অনেকেই বই বিতরণ করেন। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় অতিথিবৃন্ধরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূলে বই বিতরণ করেন। শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিনই নতুন বই পেয়ে খুব খুশি।  

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম বলেন, ‘কাগজের সংকটের কারণে এ বছর বই পাওয়া নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কম-বেশি সব স্কুলেই বই দেওয়া হয়েছে। তবে খুব দ্রুতই বাকি বইগুলো দেওয়া হবে।’ 

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রতিটি স্কুলেই বই দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ দুটি এবং তিনটি বিষয়ের বই হাতে পেয়েছে। বাকি বইগুলো দ্রুতই দেওয়া হবে।’ 

নোমান/এম



আরো পড়ুন