২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার



হিলিতে একেক দোকানে একেক দাম পেঁয়াজের

হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা || ০৬ জুন, ২০২৩, ০১:৩৬ পিএম
হিলিতে একেক দোকানে একেক দাম পেঁয়াজের


দিনাজপুরের হিলিবন্দরে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। সোমবার (৫ জুন) আমদানি হয়েছে ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল থেকে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ বিক্রি। তবে এদিন যে যেমন দামে পারছেন, বিক্রি করছেন।  এতে ক্রেতাদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ কোনো দোকানদার খুচরা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। আবার কোনো দোকানদার রাখছেন ৬০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দামেও একই চিত্র। কেউ বিক্রি করছেন ৭০ টাকায়, কেউ বিক্রি করছেন ৭৫ টাকায়। 

পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসার পর দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু দামের ঠিক নেই একই পেঁয়াজ বাজারে একাক দাম নিচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ এক দোকানে নিচ্ছে ৫০ টাকা আরেক দোকানে নিচ্ছে ৬০ টাকা কেজি।’

আরেক ক্রেতা মো. জানে আলম বলেন, ‘শুনলাম গতকাল  ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তাই দাম কম হবে ভেবে একটু বেশি করে পেঁয়াজ কেনার জন্য এলাম। এসে দেখি একেক দোকানে একেক দাম। কেউ বিক্রি করছেন ৫০ টাকা কেজি, কেউ বিক্রি করছেন ৬০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের খুচরা দামেও একই অবস্থা। এক দোকানদার নিচ্ছেন ৭০ টাকা কেজি, আরেক দোকানদার নিচ্ছেন ৭৫ টাকা। 

বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা, তাদের দাবি আগে যাদের দেশি পেঁয়াজ বেশি দামে কেনা আছে তারা ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। আর যাদের একটু দাম দামে কেনা আছে, তারা হয়তো ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। 

খুচরা বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো সেভাবে বাজারে ঢোকেনি। অনেকের দেশি পেঁয়াজই এখনো অনেক মজুত আছে। তাই তারা মজুতকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করার পর ভারতীয় পেঁয়াজ আনা শুরু করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার নিজেরই দেশি পেঁয়াজ মজুত আছে। আগে এগুলো শেষ করবো। আমার একটু কম দামে কেনা ছিল, তাই আমি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। ’

পেঁয়াজ বিক্রেতরা মো. মইনুল হোসেন বলেন, ‘আমার দেশি পেঁয়াজ কেনাই আছে ৭৮ টাকা কেজি দরে। ৩ টাকা লোকসান দিয়ে ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি।’

ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রেতরা সুনীল শীল বলেন, ‘ভারতের পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কেউ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারে। তবে পেঁয়াজের মানটাও দেখতে হবে।’ 

আমদানিকারক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজগুলো ভারতে আটকে আছে। তাই কিছু পেঁয়াজ পাইকারি ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আরও বেশি পেঁয়াজ আমদানি বেশি হলে দাম আরও কমবে। ’

পানামা হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিডেটের জনংসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক ঢাকা বিজনেজকে বলেন, ‘আইপি পাওয়ার পর সোমবার ( ৫ মে ) বিকেল থেকে হিলি বন্দর থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দুই দিনে সোমবার ( ৫ জুন) ও মঙ্গলবার ( ৬ জুন) এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত ১১টি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ২২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এমএ



আরো পড়ুন