২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



লোডশেডিংয়ে বেড়েছে চার্জার ফ্যান-লাইট বিক্রি

সনতচক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর || ০৬ জুন, ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম
লোডশেডিংয়ে বেড়েছে চার্জার ফ্যান-লাইট বিক্রি


ফরিদপুরে  তীব্র গরমের মধ্যে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও লাইট বিক্রি। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, ছোট-বড় নানা ধরনের চার্জার ফ্যান ও বিভিন্ন ধরনের লাইট দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা  লোডশেডিং হচ্ছেই। লোডশেডিংয়ের সময় গরম ও  অন্ধকার থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা চার্জার ফ্যান, লাইট, আইপিএস ও সোলারের সাহায্যে চলে এমন যন্ত্রের খোঁজ করছেন। এর ফলে হঠাৎই চাহিদা বেড়ে গেছে চার্জার ফ্যান, লাইট, আইপিএসসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের।  বেড়েছে দামও। 

স্থানীয়রা বলছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ  চলে যাওয়ায় অনেকেরই নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বার বার যাওয়ার জন্য  লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। গরমের মধ্যে লোডশেডিং থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে বিকল্প হিসেবে চার্জার ফ্যানের, লাইটারের দিকে ঝুঁকছে মানুষ।  

দোকানিরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে লাইট ও চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। দামও একটু বেশি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম  ফ্যানের। প্রতিদিনই অনেক ফ্যান বিক্রি হচ্ছে। চায়না মিনি ফ্যানগুলো বেশি চলছে। স্কুলছাত্ররা এ ফ্যানগুলো বেশি কিনছে। ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে মিনি ফ্যানগুলো এক থেকে দেড় ঘণ্টা চলে এক চার্জে। এছাড়া, মান ও আকার অনুযায়ী ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে ফ্যান বেশি বিক্রি হচ্ছে।  

ফরিদপুর  থেকে কথা হয় মো.  আলম নামে এক দোকানির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গরম ও লোডশেডিং বাড়ায় চার্জার ফ্যান বেশি বিক্রি হচ্ছে। আগের তুলনায় প্রতিদিন দ্বিগুণ বিক্রি হচ্ছে। দামও বেড়েছে। চায়না ফ্যানগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্য ফ্যানের চেয়ে তুলনামূলক দাম একটু কম এগুলোর। এছাড়া মিনি ফ্যান বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। অনেকে ফ্যানের ব্যাটারিও কিনে নিচ্ছে।’  

ফ্যান কিনতে আসা কলেজ ছাত্রী লিপি বলেন, ‘লোডশেডিং যে হারে বেড়েছে, তাতে চার্জার ফ্যানের বিকল্প নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে কেউ  পড়তে পারে না। এজন্য চার্জার ফ্যান নিচ্ছি। বাজারে ফ্যানের দাম অনেক বেশি।’

এ সময় পাশে থাকা আরেক ক্রেতা  বলেন, ‘হঠাৎ করেই লোডশেডিং বেড়েছে। বাসায় বাচ্চাদের পাশাপাশি বৃদ্ধ মায়ের ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে। ঘরে বাচ্চারা অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করে। এসি রেখেও লাভ নেই। বিদ্যুৎ না থাকলে সব কিছুই অচল। তাই গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি।’

ফ্যান বিক্রেতা সুমন সরকার  বলেন, ‘লোডশেডিংয়ে আর প্রচণ্ড গরমে বিক্রি বেড়ছে ভালোই। কিন্তু এ অবস্থা বেশি দিন চলতে থাকলে মানুষ মরে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শীতে বেচাকেনা তেমন একটা না হলেও এখন ভালোই হচ্ছে। এমনিতে গরমে বেচাবিক্রি ভালো হয়। তারওপর এবার তাপদাহ আর লোডশেডিংয়ের কারণে চাহিদা আরও বেড়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন