পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ফল কারচুপির বিরুদ্ধে রাজধানী ইসলামাবাদে পিটিআই'র বিক্ষোভ চলছে। কারাবন্দি পিটিআই নেতা ইমরান খানের মুখোশ পরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী।পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের চারদিন পর রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির একটি আসন বাদে সবগুলোর ফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
তবে ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। শুধু তাই নয়, ফলাফল কারচুপির প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভও শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভ চলছে। দলীয় পতাকা, নির্বাচনী প্রতীক ব্যাট আর ইমরান খানের মুখোশ পরে অংশ নিয়েছেন দলটির হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক।
বিক্ষোভের এসব ছবি আল জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৬৫টির (একটিতে স্থগিত) পাশাপাশি প্রাদেশিক সরকার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়।
পরদিন শুক্রবারের (৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে পুরো ফলাফল ঘোষণা করার কথা থাকলেও পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তা পারেনি বা করেনি। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ফল প্রকাশ শুরু হলেও তা ছিল খুবই ধীরগতিতে।
ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় কারচুপির অভিযোগে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও। চারদিন পর রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসে ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৬৪টির ফল জানা গেছে।