২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



মোংলায় নিলামে উঠছে ১৪৭ জাপানি গাড়ি

বাগেরহাট করেসপন্ডেন্ট || ২৮ মে, ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম
মোংলায় নিলামে উঠছে  ১৪৭ জাপানি গাড়ি


জাপান থেকে মোংলাবন্দরে আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় অবশেষে নিলামে উঠছে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৪৭ গাড়ি। মোংলা কাস্টমস হাউস রিকন্ডিশনড (ব্যবহৃত) এই গাড়ি বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে। আগামী ৫ জুন এই নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রতিমাসে এই নিলাম প্রক্রিয়ার নিয়ম থাকলেও নানা জটিলতার কারণে এবার ৪ মাস পর এই নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। মোংলা কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা ছবি রাণী দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ছবি রাণী দত্ত জানান, গত চার মাস মোংলাবন্দরে গাড়ির নিলাম বন্ধ ছিল। গত বছরের নভেম্বরে নিলামকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। সর্বশেষ কাস্টমসের নিয়োগকৃত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ছিল ‘আল আমিন ট্রেডার্স’। এরপর নিলামকারী প্রতিষ্ঠান খুঁজতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তুলনামূলক কমমূল্য কমিশন দাখিল করে। এরপর আবার ২৮ মার্চ দরপত্র আহ্‌বান করা হলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান কমিশন দাখিল করে। এরমধ্যে চট্রোগ্রমের ‘কে.এম করপোরেশন’ কোম্পানি নিয়োগ পায়। তারাই আগামী ৫ জুন মোংলাবন্দরে ১৪৭ গাড়ি নিলামের আয়োজন করছে।

এই রাজস্ব কর্মকর্তা  আরও  জানান, মোংলাবন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্টরা তা করেননি। এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে। নিলামে তোলা এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে, নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, এ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৪৭ গাড়ি। 

ছবি রাণী দত্ত জানান, এবারও গাড়ির নিলামে অনলাইন থেকে বিড করা যাবে। এছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর এই গাড়িগুলো বিক্রি হবে। পরে সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলামে ক্রয় করা গাড়ি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮. ১৯, ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি রয়েছে। ৩১ মে সকাল ৯টা থেকে পর্যন্ত বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই নিলামের প্রস্তাবিত মূল্য গ্রহণকরা হবে।

মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মোংলা কাস্টমসের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।’

মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারি ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, ‘জাপান থেকে মোংলাবন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫ গাড়ি রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলাবন্দর দিয়ে ২২ হাজার ৪৩৭ গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।’

ঢাকা বিজনেস/ বাপ্পা /এনই/



আরো পড়ুন