দুগ্ধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অধীনে থাকা ১৬টি গবেষণা উপ-প্রকল্পের ১৫টিই পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। যার মধ্যে শুধু একটি গবেষণা উপ-প্রকল্প পেয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তিন বছর মেয়াদি উপ-প্রকল্পগুলোর বাজেট ধরা হয়েছে ৮৩ লাখ টাকা।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ‘প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) গবেষণা এবং উদ্ভাবনী উপ-প্রকল্প’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। কর্মশালাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)।
বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আওয়াল, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আক্তার, প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলডিডিপি প্রকল্পের পশুপুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিযুক্ত থাকা বাকৃবির পশুপুষ্টি বিজ্ঞান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল মামুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ‘এলডিডিপি প্রকল্পের প্রতিটি গবেষণা উপ-প্রকল্প মানুষের পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা পূরণ করবে। লাইভস্টোক সেক্টর সব খামারিকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় সনির্ভরতা এসেছে। দুগ্ধ শিল্পে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এই শিল্প এগিয়ে নিয়ে যাবে এলডিডিপি প্রকল্প। এই প্রকল্পে নিরাপদ খাদ্য এবং খাদ্যের মূল্য সংযোজন বাস্তবায়িত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুধ, ডিম শিশুদের পুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিনে সময় খাবার বিতরণ চালু করেছে। এই সময়ে শিশুদের এসব খাদ্য দিলে শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। আমাদের বেশি খাদ্যের প্রয়োজন নেই। অল্প খাবারে বেশি পুষ্টি থাকতে হবে। আমাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা প্রকল্পে নিযুক্ত সাংবাদিকদের ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এলডিডিপির অধীনে গবেষণা উপ-প্রকল্পের গবেষকদের একটি দলে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে একযোগে কাজ করবে।’
বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘এলডিডিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশে গবেষক সৃষ্টি হবে। গবেষকদের গবেষণা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন হলে দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এম