পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘নৌ পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যে নৌপথে যাত্রী, নৌযান মালিক এবং সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।’ তিনি দেশের নৌপথের নিরাপত্তা এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে নৌ পুলিশকে আরো পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে প্রত্যাশা নিয়ে নৌ পুলিশ গঠন করেছেন, সে প্রত্যাশা পূরণে আরও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের ভালো কাজের রেকর্ড ভাঙতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে নৌ পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, নৌ পুলিশের ১৪১টি থানা/ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের ফলে জঙ্গি দমনে আমরা সফল হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা প্রদান করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশি সেবা পেতে মানুষ যেন কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে পুলিশ ভালো কাজ করছে। অতীতে যেখানে প্রায় ৯০ ভাগ ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটিত হতো না সেখানে বর্তমানে প্রায় ৯৫ ভাগ ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং মামলা তদন্তে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ায় এটা সম্ভব হয়েছে।’
আইজিপি বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্য মাদক ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো পুলিশ সদস্যের অপরাধের দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ বহন করবে না।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ