১৮ মে ২০২৪, শনিবার



আজ থেকে সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ

কক্সবাজার সংবাদদাতা || ২০ মে, ২০২৩, ০৯:০৫ এএম
আজ থেকে সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ


কক্সবাজারসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শনিবার (২০ মে) থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ইতোমধ্যে সাগর থেকে উঠে এসেছেন কক্সবাজারের লক্ষাধিক জেলে। এছাড়া সারাদেশে ১০ লাখেরও বেশি জেলে সাগর থেকে উঠে এসেছেন।

জানা যায়, ১৯টি উপকূলীয় জেলার ১০ লাখের ও বেশি জেলে নদী ও সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান (সামুদ্রিক শাখা) মুহাম্মদ তানভীর হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘২০ মে থেকে সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। মাছ সংরক্ষণ ও প্রজননের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার জন্য যে অনুমতি দেওয়া হয়, শনিবার মধ্যরাত থেকে তা বন্ধ হয়ে যাবে। ২০১৪ সাল থেকে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ 

সুন্দরবন অঞ্চলে জুন, জুলাই, আগস্ট-এই তিন মাস মাছ ধরাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই অঞ্চলে অতিরিক্ত ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ সুন্দরবন অঞ্চলে ২০ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকছে। এ অঞ্চলে ৩ মাস ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর।

কক্সবাজার জেলার প্রায় ৬ হাজার ফিশিং ট্রলার বা বোট ৬৫ দিন নামতে পারবে না সাগরে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানিয়েছেন, লক্ষাধিক জেলে দুই মাস ৫ দিনের জন্য সাগর থেকে উঠে এসেছেন কূলে। এর মধ্যে জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭৬৪ জন। এসব জেলের মধ্যে সরকার খাদ্য ও নগদ টাকা বিতরণ করেন প্রতি বছর। এবছরও তাই করা হবে।

এর আগে গত ১১ মে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোট ১২টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে নজরদারি জোরদার করা, মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ নিশ্চিত করা, দেশের সমুদ্রসীমায় বিদেশি নৌযানকে মৎস্য আহরণে বিরত রাখা, নৌযান নোঙরস্থলে আবদ্ধ রাখা, সমুদ্রের তীরবর্তী বরফকলগুলো সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সমুদ্রতীরবর্তী মাছ অবতরণকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা, সব মাছ ধরার নৌযানকে পর্যায়ক্রমে ট্র্যাকিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা, সাগরে মাছ ধরায় নিয়োজিত থাকা সব নৌযানকে ১৯মে এর মধ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। 

তাফহীম/এইচ



আরো পড়ুন