আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাদেরকে নির্বাচিত করা হয়। এই নিয়ে দশমবারের মতো দলের শেখ হাসিনা সভাপতি এবং তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হলেন ওবায়দুল কাদের।
দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।
কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পর ৮ বিভাগের ৮ জন কাউন্সিলর বক্তব্য রাখেন। বাজেট উপস্থাপন, সংশোধিত ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করার পর অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে।
নতুন সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করলে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করা হয়। কাউন্সিলরদের অভিমতের ভিত্তিতে নির্বাচিত নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সারাদেশ থেকে আসা প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেন। দলটির ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের সর্বময় ক্ষমতা দলীয় প্রধানের হাতে অর্পণ করা হয়। তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন—প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সময় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দুপুরের খাবার ও নামাজের বিরতি দেওয়া হয়।
ঢাকা বিজনেস/এনই/