রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনের পরিস্থিতি দেখতে ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেছে। শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা কক্সবাজারের টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারের মংডু রওয়ানা দিয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ২০ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা। এছাড়া, রয়েছেন, ৭ সরকারি কর্মকর্তা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
মিয়ানমারে যাওয়ার জন্য টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, নয়াপাড়া ও জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থিত ২৪, ২৬ ও ২৭ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত ২০ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে বাছাই করা হয়েছে।
তবে মিয়ানমারের মংডু শহরের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার প্রাক্কালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি প্রতিনিধি দলের নেতারা।
এর আগে ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাছাই-বাছাই করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টানা ৭ দিন টেকনাফের স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে অবস্থান করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৪৭ পরিবারের মোট ৪৮৬ রোহিঙ্গার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে। এসময় তাদের বক্তব্যও রেকর্ড করেন তারা।
গত ২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধি দলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়। ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে, সেই সব রোহিঙ্গা যেন আগে থেকে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাখাইন যাচ্ছে।
ইউএনও বলেন, ‘শুক্রবার সকালে টেকনাফের নাফ নদী হয়ে প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারে যায়। রোহিঙ্গার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আরআরআরসির প্রতিনিধিও আছেন। তবে বিকেলের মধ্যে তারা আবার ফিরে আসবেন।’
ঢাকা বিজনেস/আনাম/এনই/