২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
দেশের সব মাদরাসায় জাতীয় সংগীত গাইতে হবে এবং জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘‘জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। জাতীয় পতাকাকে সম্মান করার অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা। যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।’
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) নাটোরের অনিমা চৌধুরী মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে যে মাদরাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়ানো হয় না এবং জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয় না, ওই প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম শুরু করতে হবে। জাতীয় সংগীত না গাইলে এবং জাতীয় পতাকাকে সম্মান না দেখালে শিক্ষার্থীরা দেশকে শ্রদ্ধা করতে শেখে না, জাতির বীর সন্তানদেরও শ্রদ্ধা করতে শেখে না। এছাড়াও এতে রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করা হয়।’ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের মনিটরিং করার আহ্বানও জানান তিনি।
কোনো মাদরাসা এ ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করে শিশুদের জাতীয় পতাকাকে সম্মান করতে না শেখালে বা জাতীয় সংগীত না শেখালে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপু বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন, শ্রদ্ধার চোখে দেখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে চান, তাদের অবশ্যই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। জাতীয় সংগীত গাইতে হবে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই চেতনাবোধ জাগ্রত করা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং জাতীয় সংগীত গাওয়া জরুরি।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা শিরিন আক্তার ও নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম।
ঢাকা বিজনেস/এম
