২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার
রমজানে যারা খাদ্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে, তাদের গণবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন। তিনি বলেন, ‘খাদ্যপণ্যের মজুদ এখন শুধু যথেষ্টই নয়; বরং প্রয়োজনের চেয়েও বেশি। তাই রমজানে দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’ শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, রমজান কিংবা কোনো উৎসব-পার্বণ এলে আমাদের দেশের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা করার জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খাদ্যনীতিতে বলা আছে, দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুদ থাকে, তাহলে সেটি নিরাপদ। কিন্তু বর্তমানে বিশ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য চাল, গম ও ভোগ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, কোনো কোনো পণ্য রমযানের চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মজুদ রয়েছে।
এরপরও দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, মজুতদাররা এই রমযানের সুযোগ নিয়ে পণ্যের মুল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মজুদদারদের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রয়োজনে শাস্তির বিধান রাখা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে, এটা আপনারা দেখেছেন। বাজার মনিটর করা হচ্ছে। এটি খুব সহসা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে জনগণকেও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাবো।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর মতো কখনো পণ্যের সংকট তৈরি হয়নি। গণমাধ্যমকেও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। যেন কেউ এই ধরনের সংকট তৈরি করতে না পারে এবং অতিরিক্ত মুনাফা করতে যেন পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিতে না পারে, এ ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রিপোর্টিং করাসহ গণমাধ্যমও ভূমিকা রাখতে পারে।’
