অপেক্ষার প্রহর প্রায় শেষ। এবার কাপ উঁচিয়ে ধরার পালা। বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নেমেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও তার আগের ২০১৪ বিশ্বকাপের রানারআপ দল আর্জেন্টিনা। খেলার ২২তম মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। ২৩তম মিনিটে মেসির কিকে এক গোলে এগিয়ে যায় তারা। এরপর আবারও গোল পায় তারা। ৩৬তম মিনিটে ডি-মারিয়ার গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় মেসিরা। এদিকে বিরতির পরে এসে এমবাপ্পের ঝলকে বদলে গেলো খেলা। অবশেষে ৩-৩ গোলে সমতায় এসে ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতলো আর্জেন্টিনা৷
২ গোল হজম করে তুমুল লড়াই এগিয়েছিল ফ্রান্স। খেলার ৮০তম মিনিটে পেনাল্টিতে ১ গোল করে ব্যবধান কমায় এমবাপ্পে। তারপর আবারও আক্রমণ। ৮১তম মিনিটে আরও ১ গোল করে সমতায় আনেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ের ১০৮তম মিনিটে আরও ১ গোল পায় আর্জেন্টিনা। সেই গোলও ১১৮তম মিনিটে শোধ করেন এমবাপ্পে। ফাইনালে হ্যাট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন তিনি। ৩-৩ গোলে সমতা নিয়ে ম্যাচ যায় টাইব্রেকারে।
ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হয়েছিল। এই ম্যাচে জয়লাভ করে বিশ্বকাপের তৃতীয় শিরোপা উঠলো মেসিদের ঘরে।
১৯৮৬ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনা একাই জিতিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। তার অধিনায়কত্বে দ্বিতীয়বার হয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। হয়েছিলেন কিংবদন্তি। তারপর তার জায়গা নিতে পারেননি কেউই। হয়তো কখনও নিতে পারবেন না কেউ। কিন্তু মেসি যখন এলেন, জাদু দেখিয়ে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে তার নাম। যদিও বিশ্বকাপের ট্রফি তার হাতে ছিল না বলে ঠিক জমছিল না কে সেরা, সেই বিতর্কে। মেসি তারই ইতি টানলেন স্বপ্নের বিশ্বকাপ নিয়ে।
ঢাকা বিজনেস/এম