১৮ মে ২০২৪, শনিবার



দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে গেছে ১৬ গরু

বাগেরহাট সংবাদদাতা || ০২ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম
দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে গেছে ১৬ গরু


বাগেরহাটে দূর্বৃত্তের আগুনে একটি খামারের ১৬টি গরু পুড়ে গেছে। বুধবার (১ মার্চ) মধ্যরাতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এদিকে আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ খুলনার বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমানসহ কর্মকর্তারা।

খামারের মালিক নাজমুল আলম রুবেল বলেন, ‌‘আগুনে ১৬টি গরুর মধ্যে একটি মারা গেছে। এ ছাড়া, বেশকিছু গাভী আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।’ 

নাজমুল আলম রুবেল (৩৭) বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। কে বা কারা আগুন দিয়েছেন এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। রুবেল দীর্ঘদিন কোরিয়া ছিলেন। দেশে ফিরে গরুর ফার্ম করেন। তার ফার্মে প্রতিদিন ৯০ লিটার দুধ উৎপাদন হতো।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ বাগেরহাটের মাঠকর্মী তারিক হোসেন বলেন, ‘খবর শুনে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দগ্ধ গরুগুলোকে সেবা প্রদান করি। বেশিরভাগ গরুর শ্বাসনালীসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান আক্রান্ত হয়েছে।’

নাজমুল বলেন, ‘গরুগুলো ফার্মে ছিল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ রাত ১১টার দিকে কুকুরের ডাকে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। পরে গোয়ালে এসে গরুর দড়ি খুলে দিয়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করি। চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে সব গরুই আগুনে দগ্ধ হয়। একটি গরু মারা যায়। পরিকল্পিতভাবে আমাদের গোয়ালে আগুন দেওয়া হয়েছে।’ তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন প্রবাস ফেরত এই উদ্যোক্তা।

তিনি আরও বলেন, ‘গরুগুলো পুড়ে আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো। নিঃস্ব হয়ে গেলাম। ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো।’

প্রাণিসম্পদ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন বয়সের ১৬টি গরু পুড়ে গেছে। একটি গরু মারা গেছে। কয়েকটি গরুর শতভাগ চামড়া পুড়ে গেছে। ভেটেরিনারি সার্জনসহ আমরা সবাই মিলে পোড়া গরুর চিকিৎসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। গরুগুলোর সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’

বাপ্পা/এম



আরো পড়ুন