মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ডুবন্ত কার্গো জাহাজ এমভি শাহজালাল এক্সপ্রেস ২৬ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি হাড়বাড়িয়ার ৯ নম্বর অ্যাংকোরেজের একটি বিদেশি জাহাজ থেকে সারবোঝাই করে খুলনার উদ্দেশে রওনা করলে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড স্রোতের তোড়ে অপর একটি বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কার্গোটি ডুবে যায়। এতে ৫০০ মেট্রিক টন সার ছিল। সব সারই গলে পানিতে মিশে গেছে।
খানজাহান আলী স্যালভেজ এন্টারপ্রাইজের মালিক আবুল কালাম চৌধুরী জাহাজ উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ৮ নম্বর অ্যাংকোরেজ এলাকায় ডুবে যাওয়া সারবোঝাই কার্গো জাহাজটি দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার ২৬ দিন পর গত রোববার উদ্ধার করা হয়েছে। লোহার ওয়াররোপ দিয়ে সিলিং করে দুই পাশে পল্টুন বয়া বেঁধে ভাসিয়ে তোলা হয় জাহাজটি। এরপর ভাসিয়ে এনে জাহাজটি সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক বাংলা পারিজাতের পেছনে পশুর নদীর চরে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। এখান থেকে এটিকে খুলনায় ডকইয়ার্ডে নেওয়া হবে।’
কার্গো জাহাজ মালিক আজহার সিদ্দিক বাদশা বলেন, ‘গত ২৪ জানুয়ারি সারবোঝাই করে খুলনার উদ্দেশে রওনা পর ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড স্রোতের তোড়ে পড়ে অপর একটি বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রায় ৫০০ টন সার নিয়ে কার্গোটি ডুবে যায়। ওই সময় বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কার্গোটি উত্তোলনের সময়সীমা বেধে দিয়ে ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আমরা স্থানীয় স্যালভেজ দিয়ে জাহাজটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই জাহাজটি উদ্ধার করতে তারা সক্ষম হয়েছেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাহাজটি বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক বাংলা পারিজাতের পেছনে পশুর নদীর চরে রাখা হয়েছে। এখান থেকেও জাহাজাটি খুব দ্রুত সরানোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
বাপ্পা/এম