ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনার পর আতঙ্কে হলের গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন। অহেতুক ঝামেলা এড়াতে অনেকেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী।
এবিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত বিষয়টি এমন না। সাংবাদিকরা অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা সরে যাচ্ছে। সাধারণ ছাত্রীরা কী বলবে, এটা ভেবে ভয় পেয়ে থাকতে পারে। ঝামেলা এড়াতে যে কক্ষে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার শিক্ষার্থীরা অন্য কক্ষেও যেয়ে থাকতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা হলে ছয়টি গণরুমে থাকেন অন্তত ১৩২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটিতে সর্বোচ্চ থাকেন ৩২ ছাত্রী। বাকি কক্ষে থাকেন ১৬ জন করে এবং একটিতে ১০ জন। বর্তমানে কতজন আছে সে তথ্য আমার কাছে নেই।’
সহকারী রেজিস্ট্রার বলেন, ‘সন্ধ্যায় আয়াকে দিয়ে খোঁজ নিয়েছি গণরুমে একটু ফাঁকা, তবে এখনো অনেক ছাত্রী রয়েছেন। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে দুই-চারজন বাড়িও যেতে পারেন। তবে সংখ্যাটা খুব বেশি না।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নির্যাতনে জড়িত থাকা দুই শিক্ষার্থী সানজিদা ও তাবাসসুম হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হল ছেড়েছেন। তারা কোথায় গেছেন, সে বিষয়ে আমাদের জানায়নি।’
এবিষয়ে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। দিনের বেলা কেউ বাড়ি গেলে সে তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না। তবে রাতের বেলা কেউ বাড়ি গেলে সে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।’
ইমন/এম