যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার রানিং মেট হিসেবে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজকে বেছে নিয়েছেন। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোয় (ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটস) সফর শুরুর প্রাক্কালে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালজের নাম ঘোষণা করেন তিনি। এ সময়ে হ্যারিস ওয়ালজকে বেছে নিয়ে গর্বিত বোধ করছেন বলে উল্লেখ করেন।
আমেরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করা হ্যারিস বলেন, “আমি এটি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত। টিম ওয়ালজ একজন গভর্নর, কোচ, শিক্ষক এবং একজন প্রবীণ হিসাবে চাকরিজীবী পরিবারগুলোর জন্য কাজ করে গেছেন। আমাদের শিবিরে তাকে পেয়ে আমরা সৌভাগ্যবান।”
রানিং মেট হওয়ার পর এক্সে ওয়ালজ লিখেছেন, কমলা হ্যারিসের শিবিরে যোগ দিতে পারাটা তার জন্য সম্মানের। কী করা সম্ভব সেই রাজনীতিই হ্যারিস দেখিয়ে দিচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে হ্যারিস মঙ্গলবার নিজের মনোনীত রার্নি মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে নিয়ে পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রচার সমাবেশ শুরু করছেন।
রানিং মেট বেছে নিতে তিনি সম্ভাবনাময় কয়েকজন প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়ে পরে এই তালিকা সীমিত করে সোমবার দুইজনকে নির্বাচন করেন।
এর একজন মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এবং অপরজন পেনসিলভেনিয়ার গভর্নর জশ শ্যাপিরো। শেষ পর্যন্ত টিম ওয়ালজকেই বেছে নিলেন হ্যারিস।
টিম ওয়ালজ হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তাকে রানিং মেট হিসাবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হ্যারিস ব্যাখ্যা করেছেন ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টে। ওয়ালজের গুণাবলীর মধ্যে বিশেষত, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য তার লড়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের জন্যই তাকে পছন্দ করার কথা বলেছেন হ্যারিস।
এরপরই তিনি লিখেছেন, মিনেসোটার গভর্নর হিসাবে ওয়ালজের নানা অর্জনের কথা। ওয়ালজ কীভাবে গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করেছেন এবং রাজ্যজুড়ে পরিবারকে সময় দিতে কিংবা চিকিৎসার জন্য সবেতন ছুটির ব্যবস্থা করেছেন, তা হ্যারিস তুলে ধরেছেন।
হোয়াইট হাউজের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। হ্যারিস মঙ্গলবার পেনসিলভেনিয়া থেকে পাঁচ দিনের যে প্রচারাভিযান শুরু করেছেন তা আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
এদিকে ইউনিভার্সিটি ম্যাসাচুসেটসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সর্বশেষ জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস তিন পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। এ জরিপে কমলা ৪৬ এবং ট্রাম্প ৪৩ পয়েন্ট পেয়েছেন। এর আগে ট্রাম্প বাইডেনের চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন।