আমদানিকারকের দায়ের করা মামলায় পানামা পতাকাবাহী দুটি জাহাজ মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোংলা বন্দর কর্তপক্ষ। আদালতের নির্দেশনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই আদেশ জারি করে। জাহাজ দুটিতে অর্ধলাখেরও বেশি মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হয়েছিল। জাহাজ দুটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দেড় মাস পর বন্দরে আসায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন এবং তাহমিদ ট্রেডার্স।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, ‘বিদেশি জাহাজ যেন মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশনা আসে। নির্দেশনায় নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের (এনওসি) কথা উল্লেখ থাকায় আদালতের আদেশ পালন করতে হচ্ছে। এ কারণে বন্দরে কয়লা নিয়ে আসা বিদেশি জাহাজ দুটি বন্দর ত্যাগ করতে পারছে না।’
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিদেশি জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স কসমসের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দরে দুটি জাহাজের মধ্যে গত ৭ জানুয়ারি বন্দরের হারবাড়িয়া-১২ তে নোঙর করা ‘এমভি সানবাল্ক’ জাহাজে আসা ২৭ হাজার ২৪৩ মেট্রিক টন কয়লা পুরোপুরি খালাস করা হয়েছে। অপরদিকে ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ গত ২৫ জানুয়ারি বন্দরের সুন্দরী কোঠায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ভিড়লেও মামলা জটিলতায় খালাস প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি।
তিনি আরও জানান, গত ৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার একটি বন্দর থেকে কয়লা বোঝাই করতে জাহাজ দুটি সেখানে যায়। কিন্তু এর মধ্যে জাহাজ মালিক ও জাহাজ ভাড়াকারী কোম্পানির (চার্টারার) মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দেড় মাস পর ওই বন্দর থেকে কয়লা বোঝাই করে জাহাজগুলো মোংলা বন্দরে আসে। এতে কয়লা আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘জাহাজ মালিক এবং জাহাজ ভাড়াকারী কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে আমদানি করা কয়লা নির্ধারিত সময়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। এতে কয়লার গুণগত মান নষ্ট ও বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে আমরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।’
এদিকে তাহমিদ ট্রেডার্সের মোংলার প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘একই ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠানও মামলা করে। এ সংক্রান্ত জটিলতায় ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ জাহাজে কয়লা খালাস বন্ধ রয়েছে।’
বাপ্পা/এম