চুয়াডাঙ্গায় খাদ্যগুদামে গমের ট্রাকে বালুর বস্তা পাওয়ার ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে জেলা খাদ্য বিভাগ ৩ সদস্যবিশিষ্ট ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ সদস্যবিশিষ্ট ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটির সদস্যরা তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। এদিকে, তদন্ত কাজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাকের ৩ হেলপারকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে কথা বলেন কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
আটকরা হলেন- খুলনা ৭নং ঘাটের শাহাদত হোসেনের ছেলে রিদয় (১৮), খুলনা ৭নং ঘাটের মজিদ আলীর ছেলে রবিউল (২১) এবং ঝালোকাঠির কাঠালিয়া ভান্ডারিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে হোসাইন (২২)। তবে ঘটনা জানাজানির পর গত রাতে ৬টি ট্রাক ফেলে পালিয়ে গেছে তাদের চালক ও বাকি হেলপাররা।
চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘৬টা ট্রাক থেকে সব গম নামানো হয়েছে। এসব ট্রাকে সর্বমোট ৯৯ হাজার ৮১৬ কেজি গম আসার কথা ছিল। কিন্তু পাওয়া গেছে ৯৬ হাজার ৪৫ কেজি। অর্থাৎ ৩ হাজার ৭৭১ কেজি গম কম পাওয়া গেছে। এসব ট্রাক থেকে বালু আর কনক্রিটের পাথর উদ্ধার করা হয়েছে, তার পরিমাণ ১ হাজার ৪৮৮ কেজি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
উল্লেখ্য, রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা থেকে চুয়াডাঙ্গা খাদ্যগুদামে এসে পৌঁছায় গমভর্তি ৬ ট্রাক। ট্রাক থেকে গম নামানোর সময় ২৮ বস্তা বালু ও ৪টি বড় ইট ও সিমেন্টের তৈরি কনক্রিট পাওয়া যায়। এরপর তোলপাড় শুরু হয় জেলা খাদ্য বিভাগজুড়ে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, ‘রোববার রাতে খাদ্য গুদামে ট্রাক ফেলে চালক ও হেলপাররা পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে ৩ হেলপার পালানোর আগেই আটক করে ৬টি ট্রাকসহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
মিজান/এম