২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার



ওসমানের সেঞ্চুরির সুবাদে চট্টগ্রাম জিতলো বিশাল ব্যবধানে

ঢাকা বিজনেস স্পোর্টস ডেস্ক || ০৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:০১ পিএম
ওসমানের সেঞ্চুরির সুবাদে চট্টগ্রাম জিতলো বিশাল ব্যবধানে


রাজশাহীকে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারালো চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের ২১৯ রানের জবাবে ১১৪ রানে অল আউট হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের দলটি। যদিও হারজিতের চেয়ে বিবিএলের ৭ম ম্যাচের কেন্দ্রে ছিলো ওসমান খানের সেঞ্চুরি। ৬২ বলে ১২৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে ম্যান অব দি ম্যাচও হয়েছেন তিনিই। 

শুক্রবার দুপুরের ম্যাচে রাজশাহী টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল কুয়াশা কাজে লাগিয়ে বোলিংয়ে ভালো করা। শুরুটা হয়েছিল তাসকিনের উইকেট প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে। ১ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। পারভেজ হোসেন ইমন দুই বল খেলে আউট হয়ে যান কোনো রান না করেই। কিন্তু তার পরই বিপক্ষ দলের ব্যাটাররা রানের বন্যা বইয়ে দেন। ৬ ওভারে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ছিল এক উইকেটে ৭২। যা এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ। ৯ ওভারে স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটে সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেটে ১০১। 

দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ১২১ রানে। গ্রাহাম ক্লার্ক ফিরেন ২৫ বলে ৪০ করে। ওদিকে ওসমান খান তখন ৩৮ বলে ৭৯ রান অপরাজিত। ৯৫ রানে জীবন পান ওসমান খান। শফিউল আর সাব্বিরের মুখোমুখী সংঘর্ষে ক্যাচ নিতে পারেননি কেউই। শফিউল উঠে দাঁড়ালেও অনেকক্ষন মাঠে শুয়ে থাকেন সাব্বির। এরপর স্ট্রেচারে করে তাকে নেয়া হয় মাঠের বাইরে। নিজের খেলা ৪৬তম ওই বল থেকে ২ রান নিয়ে ওসমান চলে যান ৯৭ রানে। ৪৮ রানে সেঞ্চুরি আসে ওসমানের। ১৩.৪ ওভারে চট্টগ্রামের রান তখন ১৫৩। 

ওসমান খান আউট হন ৬২ বলে ১২৩ রান করে, ১৮.১ ওভারে তাসকিনের বলে। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি ছক্কা এবং ১৩ টি বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২১৯। মিথুন ১৫ বলে করেন ২৮ রান। শামীম ২, হায়দার আলী ১৯ এবং ওয়াসিম ৪ রান করেন। 

৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাসকিন। একটি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী, শফিউল ইসলাম এবং রায়ান বার্ল। 

জবাবে মোটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি রাজশাহী। ১৭১ ওভারে তারা অল আউট হয়ে যায় ১১৪ রানে। রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন হারিস, ১৫ বলে। এছাড়া সাব্বির হোসেন ৮, এনামুল বিজয় ৮, ইয়াসির আলী ১৬, আকবর আলী ১৮, রায়ান বার্ল ১০, সোহাগ গাজী ১১, তাসকিন ১, শফিউল ইসলাম ১, হাসান মুরাদ ৫ এবং মোহর শেখ শূন্য রান করেন। 

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে দুই স্পিনার আরাফাত সানি এবং আলিশ আল ইসলাম ছয় উইকেট সমান ভাগ করে নেন। পেসার শরিফুল নেন ২ উইকেট। ওয়াসিম নেন বাকি দুটি।



আরো পড়ুন