২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
গত ১৭ বছরে ঘটে যাওয়া প্রতিটি জুলুম ও হত্যার বিচার চেয়েছেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী। তিনি বলেন, ‘যারা ফাঁসির দড়ি নিয়ে মিছিল করেছে তাদের বিচার চাই। আমরা কাউকে ক্ষমা করিনি, কাউকে ক্ষমা করা হবে না। আমার বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করা হবে না।’ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিরোজপুরের নাজিরপুরে শাঁখারীকাঠি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘যারা পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে চাপের মুখে ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরি বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছেন, তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হবে।’
মাসুদ সাঈদী বলেন, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল হত্যার মধ্য দিয়ে। এ আওয়ামী লীগের শেখ মুজিব ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার শাহেদ আলীকে সংসদে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগের ইতিহাসই ছিল হত্যার ইতিহাস, ঢাকার পিলখানায় বাংলাদেশের গর্ব, অহংকার সেনাবাহিনীর ৫৭ জন গর্বিত সন্তানকে তারা হত্যা করেছিল, একটি যুদ্ধেও এত সংখ্যক অফিসার শহীদ হয় নাই।’
সাঈদীপুত্র আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে তথাকথিত ওই ক্যাঙারু ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা সাঈদীর মিথ্যা মামলার রায় দিয়েছিল, সেই প্রতিবাদে যখন সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল তখন ওই কোরআন প্রেমিক জনতার বুকে খুনি হাসিনার নির্দেশে গুলি করে তিনশ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ৫ মে শাপলা চত্বরে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেম সমাজ একত্রিত হয়েছিল নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে। তখন ভারতের প্রেসক্রিপশনে খুনি হাসিনা রাতের আঁধারে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে হত্যা করেছিল। শেখ হাসিনার হাত হাজারো, লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত।’
জামায়াতে ইসলামীর শাঁখারীকাঠী ইউনিয়ন সভাপতি মো. আনিসুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আবু দাউদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর পিরোজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ তোফাজ্জাল হোসেন ফরিদ, পিরোজপুর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ মোল্লা, উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি কাজী মোসলেউদ্দীন, উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. আবু হানিফ শেখ প্রমুখ।
