২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিবন্দি ১২০০ পরিবার

মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া || ২২ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিবন্দি ১২০০ পরিবার


ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। পাহড়ি ঢলের কারণে আখাউড়া উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও কসবা উপজেলার ১ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি আখাউড়ার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে  ১ হাজার ২০০  পরিবার। 

বুধরাত  ( ২১ আগস্ট) রাত থেকে ঢলের পানি তীব্র গতিতে বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করে।  এতে করে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ, কসবা উপজেলার বায়েকসহ মোট ৭ ইউনিয়নের ৪০টিরও বেশি গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে ৫ হাজার ৪৭৬ হেক্টর ধানি জমি, ৭৫০ হেক্টর শাকসবজির জমি, ২০০ হেক্টর ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন মাছের ঘের। 

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। একপর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারও বন্ধ রয়েছে।

জেলা প্রশাসন মো. হাবিবুর রহমান জানান, ১ হাজার ২০০ দুর্গত পরিবারের জন্য ১৫ মেট্টিক টন চাউল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া পানিবন্দি পরিবারগুলোকে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি বাড়ছে। সকালে হাওড়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে সেই বাঁধগুলোকে মেরামত করা হবে।



আরো পড়ুন