দিনাজপুরের হিলিতে একসপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। বর্তমান সরকারের অন্যান্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পেঁয়াজের বাজারও দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। আর বিক্রেতারা বলছেন, তারা নিজেরা পেঁয়াজ আমদানি করেন না। আমদানিকারকদের কাছে থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করেন। বন্দর থেকে যে দামে কেনেন, তার চেয়ে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করেন।
হিলিবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কিনি। আর আজ মঙ্গলবার কিনলাম ৯০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে।’
খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ প্রতিটি মানুষকেই কমবেশি কিনতে হয়। তাই আমি মনে করি বর্তমান সরকারের উচিত অন্যান্য পণ্যের মতো পেঁয়াজেরও দাম বেঁধে দেওয়া।’
আরেক ক্রেতা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘পেঁয়াজের দর এই নামে, এই ওঠে। কখনো ১২০ টাকা, কখনো ১০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেই ছিল ৮০ টাকা কেজি। আজ আবার পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি ৯০ টাকা কেজি।’ তিনি পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
হিলিবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা নিজেরা তো আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করি না। যারা আমদানি করেন, তাদের কাছ থেকে পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করি। যখন যে দাম ওঠে, তার চেয়ে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।’
ফেরদৌস রহমান আরও বলেন, ‘গেলো মঙ্গলবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বন্দর থেকে ৭৫ থেকে ৭৭ টাকা দরে কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর আজ মঙ্গলবার বন্দর থেকে ৮২ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৯০ টাকায় বিক্রি করছি। এরমধ্যে শ্রমিকের মজুরিসহ পরিবহণ খরচও আছে।’