২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



আসছে নতুন শুল্কায়নের পেঁয়াজ, তবে ঝাঁজ কমেনি

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
আসছে নতুন শুল্কায়নের পেঁয়াজ, তবে ঝাঁজ কমেনি


দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন শুল্কায়নের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। কিন্তু  খুচরা বাজরে তার প্রভাব পড়েনি। আগে যে-দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, এখনো সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। 

ক্রেতারা বলছেন, ভারত সরকার নাকি পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের তো আগে দামে কিনতে হচ্ছে। তাহলে শুল্ক কমিয়ে কী লাভ হলো। আর খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, এখনো বন্দর থেকে আমাদের আগের দামেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে আগের দামেই। আমদানি কারকেরা দাম না কমালে আমাদের কী করার আছে। 

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হিলিবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘শুনলাম ভারত সরকার নাকি পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ কমিয়েছেন। কিন্তু বাজারে তো দাম কমেনি। আগেও ৯০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজও ৯০ টাকা দরেই কিনতে হলো।’ তিনি আরও বলেন, ‘৯০ টাকা কেজি দরের ভারতীয় পেঁয়াজ না কিনে ১১০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ কেনাই ভালো।’ 

হিলি স্থলবন্দরের সুমাইয়া ট্রের্ডাসের মালিক মো. বাবু হেসেন, ‘সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মাসের (১৩ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানি মূল্য মেট্রিক টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গেলো মঙ্গলবার থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে।’ 

এরআগে গেলো বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেন। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেখা দেয়। দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আলহাজ শহিদুল ইসলাম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ভারত সরকার রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং মেট্রিক টন প্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছেন ঠিকই। কিন্তু ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় দেশে পেঁয়াজের বাজার কমছে না। ’

শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আগে যেখানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ রুপি দরে কিনতাম। এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৪০ থেকে ৪৫ রুপি দরে কিনতে হচ্ছে। যা বাংলাদেরে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা পড়ছে। এরসঙ্গে আছে ট্রাক ভাড়া, সরকারি শুল্ক, লেবার খরচসহ অন্যান্য খরচ। আমরা বন্দরের ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। আর খুচরা বিক্রেতারা ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।’



আরো পড়ুন