নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ‘রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে কয়েক দফা বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় আলোচনা শেষ হয়।
এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সমস্যার সমাধানে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে সমস্যার সমাধান দরকার।’ তিনি এ সংকটকালীন সমস্যার সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টার নাম চূড়ান্ত করা হবে। রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।
বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়ক আরিফ সোহেল, সারজিস আলম, নাজিফা জান্নাত, নুসরাত তাবাসসুম, খান তালাত মাহমুদ রাফি, আবু সাদিক, ইভান তাহসির, আসিফ মাহমুদ, মো. নাহিদ ইসলাম, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, মাহফুজ আলম, আবুবকর মজুমদার ও হাসনাত আবদুল্লাহ অংশ নেন।