পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রিয়জনদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকাবাসী। বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেনে ঈদযাত্রা বুধবার (১২ জুন) থেকে শুরু হয়েছে। এরই সঙ্গে ‘ঈদ স্পেশাল’ ট্রেনেরও চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বুধবার থেকে ১০ জোড়া (২০টি) ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু করছে। ঈদযাত্রার ভিন্ন ভিন্ন দিনে চলাচল করবে এসব ট্রেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ট্রেন যাত্রার সুবিধার্থে এই ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদুল আজহায় চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১, ২, ৩ ও ৪) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৮ ও ৯) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরে সাত দিন চলাচল করবে।
এছাড়া পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে আগামী ১৩-১৫ জুন (৩ দিন) ও ঈদের পরে ২১-২৩ জুন (৩ দিন) চলাচল করবে।
অন্যদিকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৭ ও ১৮) পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পার্বতীপুর; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৯ ও ২০) ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঢাকায় আসার পর ট্রেনগুলো আবার ছেড়ে যায়। এখন ওইদিক থেকে যদি কোনো ট্রেন দেরিতে আসে তাহলে ট্রেনগুলো এইখান থেকেও দেরিতে ছেড়ে যায়। কারণ ট্রেনগুলো ঢাকায় আসার পরে ক্লিনিং, ওয়াটারিং করা হয়। এর জন্য প্রত্যেকটা ট্রেনে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগে। তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ট্রেনে ঈদ যাত্রা শুরু। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া। ঠিক সময়ে ট্রেন যাতে ছেড়ে যেতে পারে সে চেষ্টা চলছে।