২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



যে কারণে ঝাল কমলো শুকনো মরিচের

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১২ জুন, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
যে কারণে ঝাল কমলো শুকনো মরিচের


দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে শুকনো মরিচের দাম। একমাস আগে প্রতিকেজি শুকনো মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারা বলছেন, কোরবানি ঈদের আগে সব মসলার দাম বাড়লেও শুকনো মরিচের দাম কমায় একটু স্বস্তি পাচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন, আগের চেয়ে বর্তমানে শুকনো মরিচের সরবরাহ ব্যাপক হারে বেড়েছে। তাই দামও কমেছে মানভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।  

বুধবার (১২ জুন) হিলিবাজারে শুকনো মরিচ কিনতে এসেছেন আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই কিছু কেনাকাটা সেরে রাখছি। মসলার বাজার গেলো বছরের চেয়ে অনেক বেশি। তবে স্বস্তি পেলাম শুকনো মরিচ কিনে। একমাস আগে প্রতিকেজি শুকনো মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। আর আজ কিনলাম ২৮০ টাকায়।’

আরেক ক্রেতা মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘২৮০ টাকা কেজি দরে যেসব শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো দেশি শুকনো মরিচ। তবে ভারতীয় শুকনো মরিচ  বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। দেশি শুকনো মরিচের চেয়ে ভারতীয় শুকনো মরিচের তেজ বেশি। তাই আমি ভারতীয় শুকনো মরিচ ব্যবহার করি।’ 

শুকনো মরিচ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস আলী ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘একমাস আগে বাজারে দেশি শুকনো মরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। তখন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। বর্তমানে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। এখন দেশি শুকনো মরিচ পাইকারি ২৭০ টাকা কেজি দরে কিনে ২৮০ টাকা খুচরা বিক্রি করছি।’ 

ফেরদৌস রহমান আরও বলেন, ‘ভারতীয় শুকনো মরিচের দাম নির্ভর করে আমদানির ওপরে। আমদানি বাড়লে দাম কমে। আবার আমদানি কমলে দাম বাড়ে। তবে ভারতীয় শুকনো মরিচের দামও কিছুটা কমেছে । একমাস আগে প্রতিকেজি ভারতীয় শুকনো মরিচ ৪৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।আর এখন বিক্রি করছি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে।’ 

/ঢাকা বিজনেস/



আরো পড়ুন