২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



তেল আবিবে রকেট হামলা চালালো হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ২৬ মে, ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
তেল আবিবে রকেট হামলা চালালো হামাস


ইসরায়েলের তেল আবিব এলাকায় রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। রোববার (২৬ মে) প্রায় চার মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো এই হামলা চালালো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকা থেকে অন্তত আটটি রকেট ছোড়া হয়েছে। বেশ কয়েকটিকে প্রতিহত করা হয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া এ সময় ইসরায়েলের হার্জলিয়া ও পেটা টিকভাসহ অন্যান্য নগর ও শহরে রকেট হামলার সাইরেন বাজানো হয়।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম হার্জলিয়ার একটি ভবনের বাগানে ক্ষেপণাস্ত্রের খণ্ডিত অংশের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। অন্য আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, হামাসের রকেটের আঘাতে কেফার সাবার কেন্দ্রীয় শহরের কাছে একটি খোলা জায়গায় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে৷

এদিকে নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড দাবি করেছে, তারা তেল আবিবের ওপর বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

এদিকে উত্তর ও দক্ষিণ গাজার অধিকাংশ শহরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে এখন রাফা শহরের ওপর চোখ পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর। রাফা গাজার সর্বদক্ষিণের শহর। এই শহরে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে ১৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয়গ্রহণ করেছিলেন। তবে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের রাফা ছাড়ার নির্দেশ দিলে জীবন বাঁচাতে এসব মানুষ এখন অন্যত্র সরে যাচ্ছেন।

সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। তাদের ভাষ্য, রাফায় হাজার হাজার হামাস যোদ্ধা আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এসব হামাস যোদ্ধাকে নির্মূল করা ব্যতীত এই যুদ্ধে ইসরায়েলের জয়লাভ সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে রাফায় বিপুল সংখ্যক সেনা ও ট্যাংক জড়ো করেছে ইসরায়েল। মিসরের সঙ্গে গাজার প্রধান সীমান্ত পথটিও দখল করে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতদিন এই সীমান্তপথ দিয়ে গাজাবাসীর জন্য জরুরি জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতো। তবে তা এখন বন্ধ রয়েছে।

তবে ইসরায়েল রাফায় স্থল অভিযান চালালে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সারা বিশ্ব। এমনকি এখন পর্যন্ত রাফা অভিযানে সায় দেয়নি ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের উদ্বেগ উপেক্ষা করে রাফা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থী সরকার।



আরো পড়ুন