তোমার দেওয়া নাম হয়েছি
এই যে তুমি নাই,
তুমি আমার নও,
তাতে কী-ই হয়েছে ক্ষতি?
তুমি থাকলে কী হতো?
কী হতাম আমি?
নাহয়
একটা বউই হতাম
তা,এর বেশি কী?
সুখী গাল - ঠোঁটে কিছু টা অসুখী!
এই যে তুমি নাই,
তুমি অন্য কারও
তাতে কী হয়েছে ক্ষতি?
তুমি থাকলে কি হতাম
এখনকার এই অন্য আমি?
একটু সময় পেলে চুপি চুপি
যাকে দেখতে আসো।
দেখো,
হয়তো ভাবো,
হলেও হতাম
-তোমার আমি!
এই যে তুমি নাই,
নাই ই না হয়
জানো তো,যায় আসেনি কিচ্ছুটি!
তুমি থাকলে কী আর কাব্য হতো?
আমি কি আর হতাম কবি?
হয়তো তোমার বউই হতাম
গাল ফুলিয়ে
ঘর গুছাতেই সারাবেলা!
তারচে এইতো বেশ একাই আছি,
একত্ব কে ছুঁয়ে আছি
তুমি নাই
তাতে যায় আসেনি কিচ্ছুটি
ডেকেছিলে যা
তাই হয়েছি
যাকে ছুঁতে গেলে হাজার বারণ
ধরতে চেয়েও যায় না ধরা!
না চাইতেও
তোমার দেয়া নাম হয়েছি
প্রিয় অধরা!
প্রণাম দণ্ড
এ যে বড্ড ভুল হলো।
আত্মসমর্পণের কথা আজ বরং না জানা ই
ভালো হতো!
অজ্ঞাতের অজ্ঞতা তবু বা ক্ষমার্হ
নিবেদনের ফুল না দেখে নয় এড়ানো ই যেত
অবজ্ঞার হেলাফেলায় এঁটো হয় হতো
কোনো শুভ্রতা
কোনো এক তাপস জীবন!
তবু তো অবলীলায়
সে কোমল প্রাণ
পেরুনো যেতো!
জ্ঞাতসারে নিবেদনের
এ আবেদন
এ ফুল
এ শুভ্রতা
এই তপস্যা
এক জীবন
এতশত অবহেলার দায়!
এ যে নিতান্ত কম নয়!
উপরন্তু অন্তর্দ্বন্দের ভীষণ যন্ত্রণা!
এক প্রস্থে নৈবেদ্য এড়ানোর এ বোধ যেন
আপনাকেই বঞ্চিত করা!
আরেক প্রস্থে একে জড়িয়ে রাখাও
আপন আত্মার প্রতারণা।
আত্মনিবেদনের এ আর্জি
না জানাই বেশ ভালো হতো!
ভুলে ভুলে জেনে ফেলা তাঁর একান্ত স্বপ্নে
এক গৃহলোভী সন্ন্যাসীর
সম্মুখের একলা হাটার কণ্টকাকীর্ণ পথ
যে আরও বিপত্তির
আরও বেপথু হলো
এ সে বুঝে তো!
দেখা হবে
পৌঁছে জানাবে বলেছিলে, জানিয়েছ!
হোক না ক'বছর পর!
পরের বার দেখা হবে বলেছিলে,
হয়নি!
না হোক।
হবে একবার!
আর নয় তো হবে না শেষ পর্যন্ত!
তবু জানি পরস্পরের দেখবার এ
এক স্বপ্নীল দুঃস্বপ্ন!
শেষে গিয়ে জানবো,
দেখা হয়নি
আর হবেও না কখনো!