২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



ঝুঁকি নিয়েই নাড়ির টানে বাড়ির পানে...

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১০ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
ঝুঁকি নিয়েই নাড়ির টানে বাড়ির পানে...


ঈদুল ফিতরের আরমাত্র ১ দিন বাকি। রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। তাই ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত চাকরিজীবি নারী-পুরুষরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের বগির ভেতরে ঠাসাঠাসি করে আবার বগির ভেতরে জায়গা না থাকায় ছাদে করে বাড়ি ফিরছেন। অনেক  নারী শ্রমিকও ট্রেনের ছাদে ওপরে বসে বাড়ি ফিরছেন। হিলি রেলস্টেশনে স্টপেজ না থাকলেও  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) অন্য ট্রেনের সঙ্গে ক্রসিংয়ের কারণে হিলি রেলস্টেশনের থামে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী আন্তুঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। 

ট্রেনের ছাদে  রোদ উপেক্ষা করে বসে ছিলেন মাবিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি ঠাঁকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায়। ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করি। গতকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) ঈদের ছুটি পেয়েছি। তাই গ্রামের বাড়ি ফিরছি।’ 

মাবিয়া বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট না পেয়ে ছাদে করেই বাড়ি ফিরছি। বেশি পথই তো চলে এসেছি। আর অল্প পথ বাকি আছে। যেতে পারবো আশা করছি। যতই কষ্ট হোক, প্রিয়জনদের সঙ্গে বাড়িতে ঈদ করার আনন্দটাই আলাদা। কোরবানির ঈদে হয়তো আসতে পারবো না। তাই ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’ 

আরেক যাত্রী আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের জীবনটাই এ রকম। গার্মেন্টসগুলো ছুটি দেয় ঈদের দু’দিন বা একদিন আগে। আর সেই কারণে একসঙ্গে চাপ পড়ে বাস-ট্রেনে। টাকা দিয়ে টিকিট মেলে না। তাই বাধ্য হয়েই ছাদের ওপরে কখনো বসে কখনো শুয়ে বাড়ি ফিরছি।’ 

আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘সেই রাত ১১ টায় বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছি। এখন দুপুর ২ টায় বাজে। কেবল হিলিতে। পঞ্চগড় যেতে কতক্ষণ লাগবে, বলতে পারছি না। তারপরও বাড়িতে বাবা-মাসহ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো। এটাই বড় আনন্দের। ঈদের একদিন পর আবার ঢাকার উদ্দেশে ট্রেন ধরবো।’ 

হিলি রেল স্টেশন মাস্টার আবুদ সাঈদ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিতে কোনো ঢাকাগামী ট্রেন থামে না। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ক্রসিং থাকার কারণে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমেছিল। প্রতিবছর ঈদের সময় ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় তারা জীবনের ঝঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরেন। অনেক চেষ্টা করেও তাদের থামানো যায় না।’



আরো পড়ুন