২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



আসছে ঈদ, বাড়ছে মসলার গরম

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ০৪ জুন, ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
আসছে ঈদ, বাড়ছে মসলার গরম


প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগেই গরম হয়ে উঠে গরম মসলার বাজার। এবারও তার ব্যতিক্রম দেখছেন  না ক্রেতা-বিক্রেতারা। তারা বলছেন, একমাসের মধ্যে বেড়েছে জিরা, সাদা এলাচ, কালো এলাচ, চারুচিনি, গোলমরিচ, লংসহ সবধরনের মসলার দাম। তবে বেশি বেড়েছে সাদা এলাচের দাম। কেজিতে মানভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। এছাড়াও কমবেশি বেড়েছে অন্যান্য মসলারও দাম। 

ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির ঈদ এলেই অদৃশ্য কারণে মসলার দাম বেড়ে যায়। আর বিক্রেতারা বলছেন, ডলারমূল্যের কথা। তারা বলছেন, আমদানিকারকেরা তাদের জানিয়েছেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে মসলা আমদানিতেই দাম বেশি পড়ছে। তারসঙ্গে আছে সরকারি শুল্কসহ অন্যান্য খরচ। তাই বেড়েছে মসলার দাম। 

মঙ্গলবার (৪ জুন) হিলিবাজারে মসলা কিনতে এসেছেন বগুড়া থেকে মো. আবু জাফর। তিনি বলেন, ‘শুনেছি হিলিতে নাকি মসলার দাম বগুড়ার চেয়ে তুলনামূলক কম। তাই মসলা কিনতে এসেছি। কিন্তু এখন তো দেখছি বগুড়া আর হিলিতে মসলার বাজার প্রায় সমান সমান।’ 

আবু জাফর বলেন, ‘বগুড়ায় প্রতিকেজি জিরা ৭৮০ থেকে ৮০ টাকা। আর হিলিতে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি । একইভাবে সাদা এলাচ, কালো এলাচের দামও খুব একটা কমবেশি নয়। তারপরও যখন এসেছি, তখন কিছু মসলা কিনলাম।’ 

স্থানীয় মসলা ক্রেতা মো. তারিকুল ইসলাম  বলেন, ‘হঠাৎ করেই কোরবানি ঈদের আগে মসলার বাজারে বেড়ে গেছে। একমাস আগে প্রতিকেজি জিরা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। কালো এলাচের কেজি ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা টাকা । এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। সাদা এলাচ ছিল ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া, কেজিতে ২০০ টাকা বেড়েছে গোলমরিচ, লংসহ দারুচিনির দামও।’

হিলিবাজারের বিসমিল্লাহ মসলার ঘরের মালিক মো. শহিদ হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘গরম মসলা সবগুলোই ভারত থেকে আমদানি নির্ভর। আমদানিকারকেরা আমাদের বলেছেন, বর্তমান ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারতে মসলার দাম বেড়েছে । তাই তাদের বেশি দামে মসলা আমদানি করতে হচ্ছে। এরসঙ্গে আছে সরকারি শুল্কসহ অন্যান্য খরচ। তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ 

শহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে মসলা বিক্রি করি। তাই তাদের দামের ওপর আমাদের নির্ভর করে বিক্রি করতে হয়। তবে আমদানিকারকেরা আমাদের জানিয়েছেন কোরবানির পরে ডলার মূল্য কমে আসলে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন দেশের বাজারেও মসলার দাম কমে যাবে।’ 

/ঢাকা বিজনেস/এনই 



আরো পড়ুন