সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে শোচনীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। হার এড়াতে শেষ দুই দিনে ৪৬৪ রান করতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৬৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড। রানের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ৩৩৫ রানে। সর্বোচ্চ রানে হারার সুযোগ না থাকলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে হারার আশঙ্কাটা থাকছে এখনও।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা এবং কামিন্দু মেন্ডিস। এই ইনিংসেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দুজনেই। তাতে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল রেকর্ডের মালিক হয়েছেন তারা।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো দুইজন ব্যাটারের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি দেখল সিলেট টেস্ট। ধনাঞ্জয়া এবং কামিন্দুর আগে লাল বলের ক্রিকেটের এই কীর্তি আছে কেবল অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেল-ইয়ান চ্যাপেল এবং পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক ও আজহার আলীর।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শুরুর দিকেই ফার্নান্দোর উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সপ্তম উইকেটে এরপর ১৬৩ রানের জুটি গড়েন ধনাঞ্জয়া এবং কামিন্দু। ১০৮ রান করে ধনাঞ্জয়া ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন কামিন্দু।
ইনিংসের শেষদিকে কামিন্দুকে সঙ্গ দিয়েছেন প্রবথ জয়সুরিয়া। দুজন মিলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। প্রবথ ২৫ রান করে আউট হন। কামিন্দু থামেন ১৬৪ রানে। অনবদ্য এই ইনিংসে ১৬টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা থামে ৪১৮ রানে। বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১ রান।
জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন দ্বিতীয় ওভারে। জাকির হাসানকে নিয়ে কিছুটা এগোনোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন মুমিনুল হক। ১৯ রান করে জাকির ফেরেন ইনিংসের অষ্টম ওভারে। পরের ওভারে পর পর দুই বলে লিটন দাস এবং শাহাদাত হোসেন দিপুকে ফেরান ফার্নান্দো।
৩ উইকেট নিয়েছেন ফার্নান্দো। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কাসুন রাজিথা এবং লাহিরু কুমারা।