২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উড়ালসেতু তুমি কার

মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া || ২৪ মার্চ, ২০২৪, ০৮:৩৩ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উড়ালসেতু তুমি কার


বেশ কয়েকদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার উড়াল সেতুর সড়ক বাতিগুলো জ্বলছে না। ফলে উড়াল সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও সড়ক বিভাগের কেউ উড়ালসেতুর দায়িত্ব নিতে রাজি নয়। দায়িত্ব নিয়ে চলছে চিঠি চালাচালি। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় উড়াল সেতুর সড়ক বাতি জ্বালানোর ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপও চোখে পড়চে না। শহরবাসী আক্ষেপ করে বলছে, তাদের মনে প্রশ্ন জাগছে, ‘উড়ালসেতু তুমি কার?’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের যানজট নিরসনের জন্য ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে শহরের দক্ষিণ মৌড়াইল খ্রিষ্টীয় মিশন এলাকা থেকে টি.এ. রোডের আশিক প্লাজা পর্যন্ত ৭৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭.৬ মিটার প্রস্থ রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর প্রায় ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওভারপাসটি ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।  এরপর থেকেই উড়াল সেতুটি যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে করে শহরবাসীর যানজটের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসে।

উড়াল সেতুটি চালুর পর গত ৭ বছর ধরে স্বাভাবিকভাবেই এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি এই উড়াল সেতুর ওপরে থাকা অর্ধশতাধিক সড়ক বাতি জ্বলছে না।   

জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি নিহার রঞ্জন সরকার বলেন, ‘শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই উড়াল সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে সড়কবাতি জ্বলছে না। যার কারণে রাতের বেলা সেতুর ওপর অপরাধ প্রবণতা বাড়বে।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফ্লাইওভারটি পৌরসভার ভেতরে হওয়ায় আমরা এটি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। তারাও নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমাদের পক্ষে এ বাতিগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলও আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ মন্ত্রণালয় থেকে তেমন কোনো বরাদ্দ আসছে না।’

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজী বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে দেওয়া চিঠি আমরা গ্রহণ করিনি। আমাদের প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতি নেই। বিষয়টি আমরা সড়ক বিভাগকে জানিয়ে দিয়েছি।’ 

সবুজ কাজী আরও বলেন, ‘বাতির প্রতিটি পিলারের উচ্চতা ৩০ ফুট।  আমাদের কাছে মই আছে ২৫ ফুটের। এছাড়া প্রতিটি বাতি রক্ষণাবেক্ষণ করতে গেলে খরচ হয় চার থেকে পাঁচশত টাকা। পৌরসভার পক্ষে এই ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই দায়িত্ব এখনো সড়ক বিভাগের হাতেই রয়েছে।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় আপাতত উড়াল সেতু এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো  হয়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/ 



আরো পড়ুন