টাঙ্গাইলে গত ৭ মাসে নারীও শিশুসহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গত বছরের (২০২৩) আগস্ট মাসে ৪ জন, সেপ্টম্বরে ২ জন, অক্টোবরে ৪ জন, নভেম্বরে ১ জন, ডিসেম্বরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি বছরে (২০২৪) জানুয়ারি মাসে ৬ জন ও ফেব্রয়ারি মাসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জোকারচর এলাকার শফিকুল রবিন ও পলাশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ঘারিন্দার মাঝখানে বেশিরভাগ পথচারীরা দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। পথচারী ছাড়াও যানবাহনের চালকসহ যাত্রীরাও দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে। অসাবধানতার কারণে ট্রেনে কাটা পড়ার ঘটনা ঘটছে। পথচারীদের সচেতন করতে রেলওয়ে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে না।’
কালিহাতী উপজেলার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘রেলস্টেশন গেটে লোকজন ইয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটাহাঁটি করেন। ফলে তাদের অনেকেই ট্রেন দুঘর্টনার শিকার হন। এ সব বিষয়ে রেলওয়ে প্রতি মাসেই ২-৩টি সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা উচিত। এছাড়া, রেলস্টেশন, রেলগেট সংলগ্ন ও বিভিন্ন বাজার, মসজিদ, স্কুলে সচেতনামূলক কার্যক্রম চালানো দরকার।’
এই বিষয়ে ঘারিন্দা রেলস্টেশন পুলিশের ইনচার্জ আলী আকবর বলেন, ‘জনসচেতন করার জন্য প্রতি মাসেই কর্মসূচি পালন করা হয়। সেতুর কাছে কিছু জায়গা আছে। সেখানে ভোরে কিছু লোক অসাবধানে হাঁটাহাঁটি করেন। ট্রেন এলে হুইসেল শুনতে না পেয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে গোপালপুর উপজেলার হেমনগর পর্যন্ত রুটে গত ৭ মাসে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের জনসচেতনতার কাজ অব্যাহত থাকবে।’
জয়দেবপুর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ সাদ ইসলাম বলেন, ‘টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্বপাড় এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় থেকে গোপালপুরের হেমনগর পর্যন্ত গেট ম্যান রয়েছেন প্রায় ২০ জন ও গেট ছাড়া সিগন্যাল-ম্যার রয়েছেন প্রায় ৩০ জন।’
এ ব্যাপারে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘মৃত্যুর কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। লেবেল ক্রসিং, মোবাইলফোনে হেডফোনসহ অসাবধনতার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। জনসচেতনতার কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসা উচিত।’