২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



হিলিতে বাড়লো তরমুজের চাহিদা, বাড়লো দামও

আনোয়ার হোসেন বুলু, দিনাজপুর || ১৩ মার্চ, ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
হিলিতে বাড়লো তরমুজের চাহিদা, বাড়লো দামও


দিনাজপুরের হিলিতে পবিত্র রমজান মাসে বেড়েছে মৌসুমি ফল তরমুজের চাহিদা। সেই সঙ্গে দামও বেড়েছে। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এরপরও রোজদাররা ইফতারির জন্য কিনছেন তরমুজ। ক্রেতারা বলছেন, রমজানের সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাই তারা ৬০ টাকা কেজি দরের তরমুজ বিক্রি করছেন ৮০ টাকায়। তাই অনেকের ইচ্ছে থাকার পরও দাম বেশির কারণে কিনতে পারছেন না। আর বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই যদি কিনতে দাম বেশি পড়ে, তাহলে তো  বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। আগে দাম কম ছিল কম দামে বিক্রি করেছেন। এখন বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। বুধবার (১৩ মার্চ ) হিলি ফল-বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানা গেছে। 

মো. গোলজার হোসেন। বাজারে এসেছেন ইফতার সামগ্রী কিনতে। মোটামুটি সব আইটেম কেনা শেষে এসেছিলেন ফল বাজারে। কথা হয় তার সঙ্গে। গোলজার হোসেন বলেন, ‘ইফতারির সব আইটেম কেনা শেষ। ফল-বাজারের এসেছি খেজুর কিনতে। দেখি থরে থরে মৌসুমি ফল তরমুজ সাজানো। প্রতিকেজির দাম হাঁকছে ৮০ টাকা। অথচ রোজার আগেই দাম ছিল ৬০ টাকা কেজি।’ 

গোলজার হোসেন আরও বলেন, ‘তরমুজ তো আর কেটে বিক্রি করে না। তাই গোটা তরমুজ ওজন করে যা হয়, তার পুরোটাই নিতে হয়। এখানে দেখছি ২ কেজি ওজনের নিচে কোনো তরমুজ নেই। ২ কেজি তরমুজের দাম ১৬০ টাকা। এটা কি সবার পক্ষে কেনা সম্ভব? তাই তরমুজ না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি।’ 

আরেক ক্রেতা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘তরমুজ হলো মৌসুমি ফল। রমজানের আগে বাজারে এসেছে। তাই চাহিদা একটু বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার চেয়ে বেশি বেড়েছে দাম। রোজার আগে যে তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৬০ টাকা, সেটাই এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা ফাঁদ পেতে বসেছেন। তাই ইচ্ছে থাকার পরও অনেকে তরমুজ কিনতে পারছেন না।’

হিলি বাজারের ফল বিক্রেতারা মো. আতিউর রহমান ঢাকা বিসনেসকে বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের তরমুজ এখনো বাজারে আসেনি। আমাদের নাটোর, নলডাঙ্গাসহ অনেক দূর থেকে এসব তরমুজ আনতে হচ্ছে। আগে মোকামে কিনতে দাম পড়তো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। হিলি পর্যন্ত আনতে সব খরচ দিয়ে ৫৫ টাকা কেজি। বিক্রি করেছি ৬০ টাকা কেজি। আর এখন মোকামে কিনতেই দাম পড়ছে ৭০ টাকা কেজি। সেই সঙ্গে বেড়েছে গাড়ি ভাড়াও। সবমিলিয়ে হিলিতে আনতে ৭৫ টাকা কেজি খরচ পড়ছে। তাই বিক্রি করছি ৮০ টাকা কেজি দরে।’ 

আতিউর রহমান আরও বলেন, ‘বিরামপুর, পাঁচবিবি, জয়পুরহাটের তরমুজ বাজারে এলে দাম এমনিতেই কমে আসবে।’

/ ঢাকা বিজনেস/এনই/




আরো পড়ুন