দিনাজপুরের হিলিতে বিভিন্ন সড়কে বাইক বাস-ট্রাক থামিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা বলেন, ‘কেউ কেউ বাধ্য হয়ে চাঁদা দিচ্ছেন, অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে জোরে বাইক চালিয়ে চলে যাচ্ছেন। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকে। রোববার (৩ মার্চ) সকালে হিলির ব্যস্ততম খাদ্য গুদাম মোড়ে দৃশ্য দেখা গেছে।
বাইক-চালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাইকযোগে বিরামপুর যাচ্ছি। হঠাৎ একটি বড় হাতি শুঁড় উঁচু করে আমার দিকে আসতে দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে জোরে বাইক চালিয়ে ওই এলাকা থেকে চলে আসি।’
ট্রাক-চালক মো. সাদেক আলী বলেন, ‘মাঝে-মাঝে আমার ট্রাকের সামনে রাস্তা আগলে ধরে দাঁড়ায় হাতি। হতির পিঠের ওপর মাহুত বসে থাকেন। তিনিই মূলত হাতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন।’
সাদেক আলী আরও বলেন, ‘হাতির শুঁড়ে টাকা গুঁজে দেওয়ার পর মাহুত সংকেত দিলেই হাতি সামনে থেকে সরে যায়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত রাস্তা আগলে রাখে। এরফলে অনেক সময় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার ও আশঙ্কা থাকে।’
হাতির মাহুত সুনীল কুমার বলেন, ‘হাতিটি আমার নিজের না। মালিক আছেন। সারাদিন যে টাকা তুলি, তা দিয়ে হাতির খাবার খাওয়াই। বাকি টাকা আমি পারিশ্রমিক হিসেবে নেই।’
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হাতির লোকেশনটা জানান। আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’