১৯ মে ২০২৪, রবিবার



আম গাছে আগাম মুকুল, আশা-নিরাশায় চাষিরা

জামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট || ২২ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
আম গাছে আগাম মুকুল, আশা-নিরাশায় চাষিরা


হাড় কাঁপানো শীতের মাস পৌষ বিদায় নিয়েছে। শুৃরু হয়েছে সৃষ্টির মাস মাঘ। কথায় আছে, মাঘের শীত বাঘের গায়ে। পৌষ আর মাঘ শীতের মাস। এই দুই মাসের শেষেই আম গাছে মুকুল আসে। কিন্তু এবার খানিকটা আগেই অর্থাৎ পৌষের মাঝামাঝি বাগেরহাটের অনেক আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আগাম এই মুকুলে চাষিদের মনে আশা জাগলেও মুকুল টিকিয়ে রাখা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তারা।

এদিকে, আগাম মুকুল দেখে আম চাষিরা অনেক খুশি। কৃষি বিভাগের মতে, শীত বিদায় নেওয়ার আগেই আমের মুকুল আসা ভালো নয়। কারণ এখন ঘন কুয়াশা পড়লে গাছে আগেভাগে আসা মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা ফলনেও প্রভাব ফেলবে।

তবে লাভ-ক্ষতি পরে হলেও গাছে গাছে মৌমাছির গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে মৌমাছিদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতে স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে মুকুল। বছর ঘুরে আবারও তাই ব্যাকুল হয়ে উঠেছে আম প্রেমীদের মন। 

সরেজমিনে আমের বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। একই বাগানে কিছু আম গাছে মুকুলে ভরা আবার কিছু গাছে এখনও মুকুল আসেনি। তবে বাগানগুলোতে চলছে গাছের পরিচর্যা।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার একজন সফল আম চাষি মাস্টার রেজাউল আহসান বলেন, ‘আমার বাগানের অনেক গাছে মুকুলে ছেয়ে গেছে আবার অনেক গাছে এখনও কোনো মুকুল আসেনি। যেগুলোতে মুকুল এসেছে, দেখে খুশি লাগছে।’

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহ-নেওয়াজ খান সজিব বলেন, ‘শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। প্রকৃতিতেও এসেছে ভিন্নতা। এরই মাঝে আগে ভাগেই মধ্য জানুয়ারিতে কিছু গাছে মুকুল এসেছে। সাধারণত মাঘের শেষে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে আমের মুকুল আসে। এবার প্রায় এক মাস আগে এসেছে মুকুল।’

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ আকাশ বৈরাগী বলেন, ‘কিছু আম গাছে আগাম মুকুল এসেছে। শীতে আমের মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। মূল ক্ষতি করে কুয়াশা। এ কারণে মুকুল রক্ষায় চাষিদের গাছ পরিচর্যায় গুরুত্ব ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কুয়াশার কারণে এক ধরনের ফাঙ্গাস সৃষ্টি হয়। তাতে মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নিয়মিত স্প্রে করতে বলা হয়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন