দিনাজপুরের হিলিতে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা বলছেন, এই শীতের মৌসুমে এসব শীতকালীন সবজির দাম থাকার কথা। কিন্তু গেলো বছরের এ বছর শীতকালীন সবজির দাম চেয়ে তুলনামূলক বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, উত্তরাঞ্চলজুড়ে টানা কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কৃষকেরা শ্রমিকের অভাবে ক্ষেত থেকে সবজি তুলতে পারছেন না। তাই বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। আর এ কারণেই সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে হিলির সবজি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সবজি কিনতে আসা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘এ বছর শীতকালীন সবজির বাজারের কিছুই বুঝতে পারছি না। কখনো দাম বাড়ছে, কখনো কমছে। গত রোববার (২১ জানুয়ারি) বেগুন ছিল ৪০ টাকা কেজি। আর আজ রোববার ৭০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফুলকপির কেজি ছিল ৩০ টাকা। ১০ টাকা বেড়ে আজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। এখন তো এসব শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম। দাম তো কমার কথা। কিন্তু কমছে না। বরং বাড়ছে।’
তৌহিদুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রশাসনের উচিত চাল, তেলসহ অন্যান্য পণ্যের মতো সবজির বাজারেও অভিযান চালানো ।’
আরেক ক্রেতা আলু কিনতে আসা মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘এখন আলুর ভরা মৌসুম। ২০ টাকা কেজি হওয়া উচিত। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ক’দিন আগেই বিক্রি হলো ৬০ টাকা কেজি। আজ আবার বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিটি কাঁচা সবজির দাম বেড়েছে।’
হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিতে স্থানীয়ভাবে এসব সবজি চাষ হয় না। আমাদের পাশের উপজেলা পাঁচবিবি, বিরামপুর, কালাই থেকে কিনে আনতে হয়। ওইসব স্থানেই কিনতে দাম বেশি পড়ছে। তার সঙ্গে আছে পরিবহন খরচ, লেবার খরচ, হাঁটের খাজনাসহ নিজের খরচ। সব খরচ বাদ দিয়ে আমরা কেজি ২ টাকা লাভ রেখে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। তারা আবার হয়তো কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে।’
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘শৈত্যপ্রবাহের কারণে শ্রমিকের অভাবে কৃষকেরা জমি থেকে সবজি তুলতে পারছেন না। তাই মোকামে সরবরাহ আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। দামও বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আবারও কমে আসতে পারে।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই