২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



হাসপাতালে ভর্তি প্রতুল মুখোপাধ্যায়, দেখতে গেলেন মমতা

বিনোদন ডেস্ক || ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:৩১ এএম
হাসপাতালে ভর্তি প্রতুল মুখোপাধ্যায়, দেখতে গেলেন মমতা


ভালো নেই ‘আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই’ মন ছুঁয়ে যাওয়া বিখ্যাত গানের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। গুরুতর অসুস্থ এই প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী পশ্চিমবঙ্গের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভারতীয় গণমধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতেই তাকে কোলকাতার হাসপাতালে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়। ক্রমাগত নাক দিয়ে রক্তক্ষরণের কারণেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ভর্তি রাখা হয়। তবে প্রথমদিকের চেয়ে এখন কিছুটা স্থিতিশীল তার অবস্থা।

সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে তাকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এসময় হাসপাতালের বেডে বসেই প্রতুল মুখোপাধ্যায় মমতাকে শোনালেন, তাঁর অতি জনপ্রিয় গান ‘বাংলায় গান গাই’। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সেই ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বেডে বসে প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ডান হাতে ইনজেকশনের চ্যানেল করা। তার মধ্যেই উদাত্ত কণ্ঠে গাইছেন সেই গান।


তাঁর বেডের উল্টোদিকে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেই না ‘বাংলাই দেখি স্বপ্ন’ বলে সুর চড়িয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে মমতা বলে ওঠেন, ‘আবার জোরে গাইছেন?’ ঠিক যেভাবে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির অসুস্থ কেউ কথা না শুনলে বকে ওঠেন! শিল্পীও জবাব দেন, ‘কিচ্ছু হবে না।’

উল্লেখ্য, প্রতুল মুখোপাধ্যায় ১৯৪২ সালে বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। ১৯৫২ সালে তার স্কুলে যাওয়া শুরু। স্কুলের মঞ্চেই দাপিয়ে অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তিনি। ‘গায়ক অভিনেতা’ হিসেবে একটি স্কুলের নাটকের মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

১৯৬২ সালে তিনি প্রথম গান লেখেন। তারপর এক দশক ধরে বেশ কয়েকটি গণসংগীত রচনা করেছেন। নকশালদের মধ্যে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘সেজদা কমরেড’ নামে।

ব্যাংকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রথম একক অ্যালবাম ‘যেতে হবে’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে।

২০১৬ সালে সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ১৪ হাজার কৃষককে তাদের জমি ফেরত দেওয়া হয়। তখন তার কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল ‘আমি বাংলায় গান গাই’। তার জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘চার্লি চ্যাপলিন’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও, আলু বেচো ছোলা বেচো’।



আরো পড়ুন