বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে ২০ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের ২২ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত ৯ এপ্রিল ডরিন পাওয়ারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে, যা এখনো বিবেচনাধীন। নরসিংদী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পিপিএর মেয়াদ ২০ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বা মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশনা আসা পর্যন্ত এর উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
কোম্পানি প্রোফাইল সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোম্পানিটি ১১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৯ টাকা ২১ পয়সা। ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৪৭ পয়সায়। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৪৭ টাকা ৪৬ পয়সা। ২০০৮ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন্স অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের যাত্রা হয়। ২০১০ সালে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নর্দার্ন ও সাউদার্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মুলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭০২ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।