২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০১:১২ পিএম
গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে: জাতিসংঘ


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর আকাশ ও স্থল অভিযানে প্রতিদিনই হতাহত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। যারা বেঁচে আছেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে গাজায় প্রতি ১০ জনে ৯ জনই প্রতিদিন খেতে পান না।  অনাহারে দিন পার করতে হচ্ছে নাগরিকদের। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার গাজা পরিদর্শনের যান জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ডেপুটি ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ। সেখান থেকে ফিরে তিনি জানিয়েছেন, গাজায় প্রতি ১০ জনে ৯ জনই প্রতিদিন খেতে পান না। এ সময় তিনি সতর্ক করেন, গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে রয়েছে। কারণ সেখানে যুদ্ধ চলছে, পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না।

এদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাসকে নির্মূল করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিবিসিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড বলেছেন, ‘যেকোনো বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু বেদনাদায়ক, তবে আমাদের কাছে বিকল্প নেই। গাজার ভেতরে যতটা সম্ভব আমরা সবকিছু করছি।

এর আগে আইডিএফ-এর চিফ অফ স্টাফ হার্জি হালেভি সৈন্যদেরকে বলেছিলেন, ‘কঠিন চাপ দিতে হবে, কারণ আমরা সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ করতে দেখেছি। তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ছে’।

ইতোমধ্যে, বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে দূরে রেখে জরুরি আইন ব্যবহার করে ইসরায়েলের কাছে প্রায় ১৪ হাজার রাউন্ড ট্যাংক গোলাবারুদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। যা গাজা অভিযানে ব্যবহার করবে ইসরায়েল।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের কড়া সুরক্ষিত সীমান্ত বেড়া ভেঙে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস যোদ্ধারা। জবাবে, ইসরায়েল গাজার সঙ্গে তাদের সীমানা বন্ধ করে দেয় এবং এই অঞ্চলে বিমান হামলা শুরু করে। যার ফলে সাহায্য সরবরাহের প্রবেশও সীমিত করে দেয়া হয়। মূলত এসব সহায়তার খাবার সংগ্রহ করতো গাজার অসংখ্য বেসামরিক মানুষ। একদিকে ধারাবাহিক হামলা অপরদিকে ত্রাণ সহায়তা বন্ধ, দুই মিলিয়ে বর্তমানে চরম খাবার সঙ্কটে রয়েছে গাজাবাসী।

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন