কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশ ও আমাদের প্রত্যাশা” শীর্ষক কলোকিয়াম-১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কলোকিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশ, সংকট, উত্তরণের সম্ভাবনা, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষ দায় এবং দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন ইংরেজি বিভাগের লেকচারার মো. রাকিবুল আলম। সোমবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান। তাঁরা উভয়েই কিশোরগঞ্জে সত্যিকার অর্থে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় পুনরায় ব্যক্ত করেন এবং এজন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মূল বক্তার বক্তব্য উপস্থাপন শেষে, উপস্থিত প্রায় দুইশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী- কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সম্মানিত অতিথিদের প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ মিনিটব্যাপী প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য এবং উপাচার্য মহোদয়ের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান তার বক্তব্যে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’-কে সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করেন এবং মাননীয় উপাচার্য মহোদয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এমন আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্ত পরিসর, এখানে প্রয়োজন প্রশ্ন করতে শেখা এবং সেই প্রশ্নের সৃষ্টিশীল সমাধান খোঁজা। সেজন্য ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং এর কোন বিকল্প নেই। ক্লাসরুমে আমরা শুধু দীর্ঘশ্বাসের শব্দ পেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, সে যত তুচ্ছই হোক না কেন, তা করতে পারতে হবে। আজ এই কলোকিয়ামে এত এত প্রশ্ন দেখে আমি সত্যি আনন্দিত এবং অভিভূত।‘ এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘নিজেদের আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে এমন আয়োজন প্রতি মাসে ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে।’বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি প্রবণতা হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসু মানসগঠন ও প্রশ্ন করতে শেখানোর মাধ্যমে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করা। যা বৃহত্তর সমাজে ছড়িয়ে পড়ে অধিকতর মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে। এই সমাজের কাছে শিক্ষার্থীদের দায় আছে। সেই দায় পূরণে তাদের যোগ্য মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।‘ এই কলোকিয়াম আয়োজনে যারা কাজ করেছেন তাদের এবং উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানিয়ে তিনি অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/