কুদুম গুহা। কক্সবাজারের টেকনাফে অবস্থিত একটি প্রাচীন গুহা। কক্সবাজার শহর থেকে ৮৮ কিলোমিটার দক্ষিণে টেকনাফে দমদমিয়া এলাকায় মুছনী গ্রামে এই গুহা অবস্থিত।
এটি বাংলাদেশের একমাত্র বালু-মাটির গুহা। মনোরম পাহাড়ঘেরা পরিবেশ, পাখির ডাক আর বন্যপ্রাণীর আনাগোনাময় এই গুহাটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ফুট ওপরে অবস্থিত এই কুদুম গুহার দৈর্ঘ্য ৫০০ ফুট। প্রবেশ মুখ ১২ ফুট উচু।
কুদুম গুহা স্থানীয়দের কাছে কুদুং নামে বেশি পরিচিত। অসংখ্য বাদুড়ের আশ্রয়স্থল হওয়ায় এটিকে বাদুড় গুহাও বলা হয়। এছাড়া, বিভিন্ন প্রজাতির শামুক, মাকড়সা, জোঁকসহ নানা প্রাণির বসবাস এই গুহায়।
গুহার ভেতরে ঢুকলে কোথাও হিম শীতল জলের দেখা মিলবে, কোথাও কোমরসমান পানি আবার কোথাও গলা সমান পানি পাবেন। আরও দেখবেন, গুহার দেয়ালের গা বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে অনবরত পানি ঝরছে। গুহার যত ভেতরে প্রবেশ করবেন, পানির গভীরতাও তত বাড়তে থাকবে।
শুকনো মৌসুমেও কুদুম গুহার ভেতর কোমর সমান পানি থাকে। তবে বর্ষার সময় সেটা প্রায় গলাসমান হয়ে যায়। গুহার পানি বেশ ঠাণ্ডা। তবে স্বচ্ছ। এই স্বচ্ছ মিষ্টি পানিতে রয়েছে বড় বড় টাকি জাতীয় মাছ, কৈ, কাকলি, তিন চোখা, ডানকিনে কালো রঙের চিংড়ি, নানা রকমের ব্যাঙ, গুগলি আর শামুক। কুদুম গুহার ভেতর এতটাই অন্ধকারচ্ছান্ন যে, তীব্র আলো ছাড়া এর ভেতরে কিছুই দেখা যায় না।
এই এলাকায় বিচরণ করে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ বন্য হাতি। এলাকাটিতে মূলত চাকমা গোষ্ঠীর বসবাস। এই অঞ্চল-লাগোয়াই মিয়ানমার সীমান্ত।
ঢাকা বিজনেস/এনই/