২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে প্রচারণা না থাকায় প্রথম দিনে মাত্র ৮জন রোগী এই সেবা পেয়েছেন। বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোগীরা হাসপাতালের বহিঃবিভাগে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন।
প্রথম দিনে রোগী দেখছেন অর্থোপেডিক্স বিভাগের ট্রমা সার্জন ডা. মো. সোলায়মান, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের ডা. ধীমান দেবনাথ, গাইনী বিভাগের ডা. আইরিন হক, শিশু বিভাগের ডা. ফারহানা হক, মেডিসিন বিভাগের ডা. মারুফ হোসাইন, চক্ষু বিভাগের ডা. ওবায়দুল হক ও হৃদরোগ বিভাগের ডা. মো. মনির হোসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় অফিস সময়ের পর নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে নিজের কর্মস্থলে (সরকারি হাসপাতালে) বসেই রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা। বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালে এই সেবা পাওয়া যাবে।
চিকিৎসককে দেখানোর পাশাপাশি এ সময়ে হাসপাতালে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করারও সুযোগ থাকছে। তবে এক্ষেত্রেও নির্ধারিত হারে ফি পরিশোধ করতে হবে রোগীকে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এই সেবার জন্য একজন অধ্যাপকের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন, সেবা সহায়তাকারী পাবেন ৫০ টাকা। বাকি ৫০ টাকা পাবে হাসপাতাল। এছাড়া, সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি ৪০০ টাকা। এর মধ্যে চিকিৎসক পাবেন ৩০০ টাকা। সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালটেন্ট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের ফি ৩০০ টাকা, যার মধ্যে ২০০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। এমবিবিএস বা বিডিএস বা সমমানের ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের ফি ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১৫০ টাকা চিকিৎসক পাবেন। বাকি টাকা সার্ভিস চার্জ বাবদ কাটা হবে এবং চিকিৎসকদের সহায়তাকারীরা পাবেন। এক্ষেত্রে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুই দিন করে কাজ করবেন।
বৈকালিক এ সেবায় চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি ছোটখাটো সার্জারি, ডায়াগনস্টিক, ক্লিনিক্যাল, প্যারা-ক্লিনিক্যাল টেস্টসহ বিভিন্ন রকম পরীক্ষার জন্যও মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও খরচের একটি অংশ পাবেন হাসপাতালে বৈকালিক দায়িত্ব থাকা স্টাফরা৷
বৈকালিক চেম্বারে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ উদ্যোগে আমাদের মতো রোগীদের অনেক উপকারে আসবে। অল্প টাকায় সরকারি হাসপাতালে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা নিতে পারবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকায় বৈকালিক এ সেবা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া এই হাসপাতালে সপ্তাহে ছয়দিন রোগীদের দেওয়া হবে বৈকালিক সেবা। হাসপাতালের ৭টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সরকার নির্ধারিত ফি নিয়ে রোগীদের সেবা দেবেন।’
ডা. মুহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান আরও বলেন, ‘রোগীদের জন্য এক্স-রে ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাব খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে তারও ব্যবস্থা করা হবে। উদ্বোধনী দিনের কারণে ৫ জন ডাক্তার ৮জন রোগী দেখেছেন। ভালোভাবে প্রচারণা হলে হয়তো আগামী শনিবার (১৭ জুন) থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়বে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই
