২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



ঢাকা বিজনেসে সংবাদ প্রকাশের পর তৈরি হচ্ছে সেই সেতু

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
ঢাকা বিজনেসে সংবাদ  প্রকাশের পর তৈরি হচ্ছে সেই সেতু


ঢাকা বিজনেসে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে তৈরি হচ্ছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নে তুলশীগঙ্গা নদীর ওপর সেতু। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিক। 

এ সময় হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন-উর-রশিদ. নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর রেজা, আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে, ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর  ‘ঢাকা বিজনেস’ -এ ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় কাঠের সেতুতে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানিতে ভরে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নদীর দুই পাড়ের বসবাসবারী প্রায় ২০ হাজার মানুষকে। উৎপাদিত ধান, গম, সরিষাসহ অন্যান্য পণ্য পারাপারে পড়তে হয় চরম বিপাকে। 

কোকতাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানী বলেন, ‘তুলশীগঙ্গা নদীর পশ্চিমে আছে আলীহাট,কাশিয়াডাঙ্গা, ধাওয়ানশীপুর, মনসাপুর, কোকতাড়া, শখেরবাজার গ্রাম। আর পৃর্বদিকে বাঁশমুড়ি, আরজিপাড়া, বারো আড়িয়া, দক্ষিণ জামালপুর গ্রাম। এই ১০টি গ্রামে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের একমাত্র সংযোগ সড়ক আলীহাট থেকে কাশিয়াডাঙ্গা সড়ক। কিন্তু কাশিয়াডাঙ্গা তুলশীগঙ্গা নদীতে সেতু না থাকায় তাদের  দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 

কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে। ভোগান্তি কমবে ১০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষের।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে, ২০০০ সালে এলাকাবাসী নিজস্ব অর্থে  ২০০ ফুট লম্বা একটি কাঠের সেতু তৈরি করেন। বর্তমানে কাঠের সেতুটিরও ভঙ্গুর অবস্থা। কাঠের তৈরি পাটাতনগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত কাঠের সেতুটি।’  

হাকিমপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘তুলশীগঙ্গা নদীর ওপর সেতুটি ৯৬ ফুট লম্বা হবে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৪২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটির নির্মাণ কাজের টেন্ডার পেয়েছেন। আর দেখভাল করবেন উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।’

/ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন