সমাবেশের নামে পথচারী, সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর বিএনপি-জামাতের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে বিএনপি-জামাত শনিবার হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়ে প্রায় ৮০০ মানুষকে হত্যা করার পরও বিএনপি ও জামাত এই বর্বরতার বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি। বরং তারা শনিবার হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজারবাগে হামলা চালিয়েছিলো, শনিবার বিএনপি-জামাতও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, বিশটির বেশি এম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে। দেশের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল এ রকম হাসপাতালে হামলা করেছে বলে আমার জানা নেই।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তারা সমাবেশের নামে নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল, বিজয়নগর, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। তাদের হামলায় আরও একশ’র বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুইজনের অবস্থা গুরুতর, আনসারের ২৫জন ও ২১জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। তারা প্রায় শতাধিক গাড়ি পুড়িয়েছে। শনিবার রাতে আমরা ঢাকা মেডিকেল ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে গেছি। দেখেছি বহু পুলিশ সদস্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বিএনপির তারা বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় আঘাত করেছে যাতে মৃত্যু হয় ও যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার খুলি নামিয়ে ফেলা হয়েছে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য।’
দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কখনো এর আগে হামলা হয়নি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে বিএনপি সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগের প্রধান, তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে যা। তবে ইতোপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় লাথি মেরেছিলো, সেটিও বিচার বিভাগকে তাদের তোয়াক্কা না করার প্রমাণ।’
এ দিন সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা বিএনপি জামাত চালিয়েছে আমি সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। গণমাধ্যমকর্মীরা কোনো দলের পক্ষ হয়ে সেখানে যায়নি, নিউজ কাভার করতে গেছে ও তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এগুলোর বিচার হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এমএ/